লিহান লিমা: [২] যুক্তরাজ্য সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এবং এমপিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে চীনের তীব্র সমালোচনা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। দ্য গার্ডিয়ান।
[৩] ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে এক ব্যক্তিগত বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ওপরও ক্ষোভ ঝেড়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, এটি কোনো বৈজ্ঞানিক সংস্থা নয়, বরং পুরোই রাজনৈতিক। ২০১৭ সালে হু এর নির্বাচনে সভাপতির পদ জিততে চীনই টেড্রোস অ্যাডহানোম গ্যাব্রিইসুসকে সহায়তা করেছে। হু ‘চীনের পকেট’ এ পরিণত হয়েছে এবং তারাই ব্রিটেনে শত শত মৃত্যুর জন্য দায়ী।’
[৪] বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠকে পম্পেও হুয়াওয়ের ওপর ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং হংকংয়ের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি বাতিল ও ৩০ লাখ হংকংবাসীকে ব্রিটেনের অভিবাসন প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। পম্পেও বলেন, উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের নির্যাতনের গোপন তথ্য ব্রিটেনের সঙ্গে ভাগাভাগি করবে ওয়াশিংটন। যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ওপর ব্রিটেনকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সুযোগ করে দেবে।
[৫] ডমিনিক রাবের সঙ্গে বৈঠকে পম্পেও বলেন, করোনা প্রতিরোধযোগ্য ছিলো। কিন্তু বিশ্বকে সাহায্য করার বদলে চীন তাদের আসল চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে।’ চীনকে আগ্রাসী উল্লেখ করে এ সময় পম্পেও বলেন, আপনি অবৈধভাবে কোনো অঞ্চলকে নিজের বলে দাবি করতে পারেন না। হিমালয় অঞ্চলের দেশগুলোকে হুমকি বা হয়রানি দিতে পারেন না। হু’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার ওপর প্রভাব খাটাতে পারেন না। বিশ্বকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
[৬] পম্পেওর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হু এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা যে কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং ভিত্তিহীন দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। সেই সঙ্গে দেশগুলোকে অভিযোগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানাচ্ছি। গত মাসে হু এর ওপর দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনা করে সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :