নরসিংদী প্রতিনিধি: [২] বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রাধীন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালস্থ বাংলাদেশ জুটমিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবার স্থায়ী অস্থায়ীসহ সকল শ্রমিক- কর্মচারীদের বাসা, দোকান ও লীজকৃত আবাদী জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা নিয়ে মিলের প্রধান গেইটে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
[৩] নোটিশে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাট-১ অধিশাখার পত্র সূত্র নং ২৪.০০. ০০০০.১১৮. ১৮.০৫৭.২০.১০৪ তারিখ ৩০ শে জুন ২০২০ মোতাবেক সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জুটমিলস্ করপোরেশন (বিজেএমসি) এর নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি পাটকল শ্রমিকদের চাকুরী গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার আওতায় অবসানসহ উৎপাদন কার্যক্রম ১ জুলাই থেকে সম্পূর্ণরুপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের জন্য আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুট মিলের সকল স্থায়ী /বদলী /দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের নামে বরাদ্দকৃত বাসা/কাঁচাঘর/দোকান /লীজকৃত আবাদী জমি মিল কর্তৃপক্ষের নিকট বুঝাইয়া দিয়ে মিল এলাকা ত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে।
[৪] পাওনা পরিশোধের আগে এমন খবরে হতাশা প্রকাশ করে মিলের শ্রমিক ইকবাল ও মো. আব্দুস সালাম জানান, সরকার আমাদের পাওনা পরিশোধ না করে বের করে দিলে কোথায় যাবো। নতুন বাসায় উঠতে গেলে এডভান্স টাকা দিতে হয়। এছাড়াও করোনা ও বর্ষার সময় চলতেছে। বাসার মালামাল নিয়ে আমরা যেতেও পারবোনা, এখন আমাদের কি উপায় হবে! আর যদি এই সময়ের মধ্যে আমাদের পাওনা পরিশোধ করে দেন তাহলে নোটিশ অনুযায়ী আমরা চলে যাবো। আর যদি সমস্ত পাওনা পরিশোধ না করে তাহলে যেন বাসা ছাড়ার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
[৫] এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুটমিলের প্রকল্প প্রধান মো. মতিউর রহমান জানান, নোটিশ অনুযায়ী শ্রমিকরা জুলাই ও আগস্ট মাস পর্যন্ত থাকতে পারবে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ শ্রমিক কলোনি ছেড়ে চলে গেছে। তিনি আরও জানান, নোটিশের দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকরা পাওনা পেয়ে যাবে, তখন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যেতে পারবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী