আরমান কবীর: [২] মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর আমলী আদালতে দোষ স্বীকার করে তিনি এ জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে আদালতের বিচারক শামছুল আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[৩] টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহাম্মেদ জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] সাগর আলী (২৭) উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার মগবর আলীর ছেলে।
[৫] প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই মধুপুর উপজেলার পৌর এলাকা মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়ির তিনটি ঘর থেকে ব্যবসায়ী আব্দুল গণি (৫২), তার স্ত্রী তাজিরন বেগম (৪২), ছেলে তাজেল (১৮) ও মেয়ে সাদিয়ার (৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত কুড়ালসহ (কুঠার) বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
[৬]এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বড় মেয়ে সোনিয়া আক্তার বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
[৭] এদিকে টাঙ্গাইল র্যাব গত রোববার বিকেলে উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়ী এলাকা থেকে সাগরকে আটক করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া টিভি ও মোবাইলসেটসহ অন্যান্য দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সাগর র্যাবের কাছে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সে ও তার এক বন্ধু জড়িত বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।