খোরশেদ আলম: [২] শেরপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুর-জামালপুরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
[৩] শুক্রবার থেকে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়াদোকান, ডাইভারশনের বেইলী ব্রীজের দক্ষিণ পাশে মাটি ধ্বসে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
[৪] সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় পোড়াদোকান শিমুলতলীতে দুটি কজওয়েতে ব্রীজের নির্মান কাজ চলার কারণে যানবাহন চলাচলের জন্য নির্মিত বিকল্প রাস্তা ডুবে গিয়ে ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় বিপদসীমা ছুই ছুই অবস্থানে রয়েছে।
[৫] পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শেরপুর ফেরীঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি যেকোন মূহুর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের পুরাতন ভাঙ্গা অংশ গুলো দিয়ে পানি প্রবেশ করে চরাঞ্চরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী, চরমোচারিয়া, কামারের চর, বেতমারি, ঘুঘুরাকান্দি, লছমনপুর, রৌহা ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার প্রায় ২৫টি প্লাবিত হয়েছে।
[৬] অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে গাজিরখামার ও নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :