আসিফুজ্জামান পৃথিল : [৪] ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ইরান সফরের সময় ২৫ বছরের একটি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে দুই সরকারের মধ্যে প্রথম প্রাথমিক একটি বোঝাপড়া হয়। তবে এটি অতি সম্প্রতি চূড়ান্ত হয় ।
এশিয়া টাইমস।
[৫] কুয়ালালামপুরে মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউ আব চায়নার অধ্যাপক ড. মাহমুদ আলী বলেন, ইরানকে তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের মধ্যে শক্তভাবে আনার জন্য চীন অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস।
[৬] ইতোমধ্যেই অবশ্য চীন ও ইরানের মধ্যে সরাসরি রেল লিংক রয়েছে। এই রেল রুট নতুন সিল্ক রোড নামে পরিচিত যা জিনজিয়াং থেকে কাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিস্তানকে যুক্ত করে তেহরান পর্যন্ত ২৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। বিবিসি।
[৭] বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ইরানের তেল-গ্যাস, ব্যাংকিং, টেলিকম, বন্দর উন্নয়ন, রেলওয়ে উন্নয়ন এবং আরো কয়েক ডজন খানেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে চীন ব্যাপক বিনিয়োগ করবে। এই বিনিয়োগের পরিমাণ আগামী ২৫ বছরে কমপক্ষে ৪০ হাজার কোটি ডলারের সমপরিমাণ হতে পারে।
[৮] মিডল-ইস্ট আই এর একটি রিপোর্টে লেখা হয়েছে, চুক্তির আওতায় চীন তাদের বিনিয়োগের সুরক্ষায় ওই সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করতে পারবে।
[৯] বিনিয়োগের বদলে জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে চীনকে অনেক ছাড় দেবে ইরান। বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে তেল-গ্যাস পাবে চীন এবং চীনা মুদ্রায় দেয়া সেই দাম পরিশোধ করতে পারবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান