আরমান কবীর: [২] টাঙ্গাইলে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বহু বাড়ি-ঘর এমনকি প্রধান সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে জেলায় পানি বন্দী কয়েক হাজার পরিবার।
[২] জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন এবং ভ‚ঞাপুর পৌরসভার একাংশ বন্যা কবলিত হয়েছে।বর্তমানে জেলার ২১ হাজার ১৭৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
[৩] পানিবন্দি এসব এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তীব্র স্রোতে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমির আউশ ধান, পাট, তিল আর সবজি। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর বেশির ভাগই যমুনার চরাঞ্চলে।
[৪] টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুত্র জানান, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ভুয়াপুরে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।নেপাল ও ভারতে অতিবৃষ্টি এবং বন্যার পানি ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :