নাঈমুল ইসলাম খান : [৩] আমাদের নতুন সময় মিডিয়া গ্রুপের সকল সহকর্মীর কাছে আমার এই ছুটির আবেদন।
[৪] ছুটির সময়ে কী করব এখনও নিশ্চিত নই। দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানো, বই পড়া, গান শোনা, চলচ্চিত্র দেখা একটা অপশন।
[৫] নর্থ আমেরিকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার একটা আগ্রহ আমার ছিলো। নানান ভাল ভাল কাজের বাঁধায় সেটা হয়ে ওঠেনি। এই সুযোগে সেই পড়াশোনার ঘাটতিটা পূরণ করবো কিনা ভেবে দেখা যেতে পারে।
[৬] ছুটির আগে যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ সময় “সহকর্মীদের” সাথে দিতে চাই, যাতে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দৃঢ় পায়ে দাঁড়িয়ে যায়। সহকর্মীদের যেন, কোনো অভাব বা অসন্তুষ্টি না থাকে, আমার ছুটির সময়ে।
[৭] যদি আল্লাহর ইচ্ছায় মৃত্যু আমাকে প্রাকৃতিক ভাবে নক্ষত্রের দূরত্বে সত্যি সত্যিই নিয়ে না যায়, তাহলে সুব্রত শঙ্কর ধরের লেখার ৩২ বছর পর হলেও আমি সংবাদপত্রগুলো থেকে বাস্তবিকই নক্ষত্রের দূরত্বে যেতে চাই।
[৮] এ ছুটি আমার চাইই চাই। বিগত ১৯৯৪ থেকে ২০২২ এর পূর্ব পর্যন্ত ২৮ বছরের অক্লান্ত, বিরতিহীন পরিশ্রমের পর এ ছুটি আমার ন্যায্য পাওনা।
[৯] এমন একটি ছুটি আমি ভোগ করেছি ১৯৯৩ সালে, এক বছরের জন্য। দৈনিক ভোরের কাগজ থেকে, সাংবাদিক আমানউদদৌলার উক্তি মতে ‘মাইনাস নাঈম’ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নির্মম বিশ্বাসঘাতকতায় প্রতারিত হবার পরে। তখন তীব্র মানসিক আঘাতে কিছুদিন ডিপ্রেশনে ভুগেছি, এমনকি শাহবাগ মার্কেটের বহুতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার উদ্যোগীও হয়েছিলাম।
[১০] কিন্তু ১৯৭৬ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর অনেক সাংগঠনিক কাজে নিরবিচ্ছিন্ন পরিশ্রমে ও অনেক মানসিক চাপ নেবার পর ১৯৯৩ সালটা আমি ছুটি কাটিয়েছি। উল্লেখযোগ্য, কিছুই করিনি। তখন ভিসিআর এ সিনেমা দেখার যুগ। অনেক ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র দেখার পাশাপাশি মনোরঞ্জনের জন্য মুম্বাই চলচ্চিত্র দেখেছি অনেক।
[১১] সেই একবছর আমাকে ভালবাসায় সঙ্গ দিয়েছে আমার বেশ কয়েক জন অকৃত্রিম বন্ধু। মনে পড়ে আমরা কয়েক বন্ধু মুহূর্তের সিদ্ধান্তে এক রাতে বাসে চলে গেলাম রাজশাহীর বিখ্যাত সংগীত শিল্পী লাইসা আহমেদ লিসার গান শুনতে। ফিরে এসেছি ঢাকায় পরবর্তী রাতের বাসে।
[১২] এভাবেই উদ্দেশ্যহীন বেড়ানো, বন্ধুর সঙ্গে গল্প-গুজব, আমাকে এক বছরের মধ্যেই তৈরি করেছিলো পরবর্তী প্রায় তিন দশকের ঐতিহাসিক কাজের জন্য। অণুলিখন: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :