রাজু চৌধুরী: [২] গ্রেফতারকৃত আহসান হাবীব নামে ঐ যুবক চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের আবুল কাশেমের পুত্র তার কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ, সিমকার্ড, কয়েকটি মোবাইল সেট, লক খোলার বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সরঞ্জামসহ ডিভাইস জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত নানা জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] পুলিশ জানায়, নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার তামাকুমন্ডি লেন হাসিনা হক মার্কেটের ‘সেল টেকনোলজি’র মালিক আহসান হাবীব নিমিষেই পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন মোবাইলের আইএমইআই। মোবাইল সেট ব্যবসার আড়ালে টাকার বিনিময়ে সে মূলত এ কাজ করে। নগরীর নানা স্থানে হারানো, চুরি হওয়া কিংবা অপরাধ কর্মে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলো নানা প্রক্রিয়ায় রিয়াজউদ্দিন বাজার কেন্দ্রিক বিভিন্ন মোবাইল দোকানে চলে আসে।
[৪] পরবর্তীতে দোকানদাররা আহসান হাবীবের মাধ্যমে মোবাইল সেটের মূল আইএমইআই, প্যাটার্ন ও ফ্লাশ পরিবর্তন করেন। আইএমইআই পরিবর্তনের পর এসব মোবাইল নগরীর অভিজাত মার্কেটগুলোর শো রুমে বিক্রি করা হয় ।
[৫] রোববার (১২ জুলাই) নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার থেকে তামাকুমন্ডি লেন হাসিনা হক মার্কেটের ‘সেল টেকনোলজি’র মালিক আহসান হাবীবকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
[৬] কোতোয়ালী থানার ওসি মো মহসীন জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আহসান হাবিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহসান হাবিব ডিভাইস জালিয়াতি চক্রের একজন সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহসান হাবীব জানায়, মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তনের এ কাজে সে মূলত ইন্টারনেট ভিত্তিক বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর সফটওয়্যার ব্যবহার করে।
[৭] বিভিন্ন চোরাই ও ছিনতাই হওয়া মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রি করে থাকে। এসব মোবাইল সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে থাকেন। সে নিমিষেই পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন মোবাইলের আইএমইআই নাম্বার। পরে এসব মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য চলে যায় নগেরর নামী-দামী শপিং সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। সম্পাদনা: জেরিন