চৌধুরী হারুন : [২] “রাঙ্গামাটিতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কোভিড-১৯ বিষয়ক পার্সন চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন ,রাঙ্গামাটি জেলার স্থাস্থ্যবিভাগের নার্স ও চিকিৎসকসহ ৫০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। রাঙ্গামাটি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৩৯৮ জনের মধ্যে সরকারী প্রতিষ্ঠানের ২৭৫ জন।
[৩] জেলা প্রশাসনের করোনা বিষয়ক দায়িত্ব নিয়োজিত সহকারী কমিশনার লাইলাতুল হোসেন জানান, রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ২২৫ জন ও চিকিৎসকসহ নার্স ৫০জন মোট ২৭৫জন আক্রান্ত হয়েছে ।
[৪] সরকারি অফিস সমুহ হলো- করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা পুলিশ ১৬৬, আনসার ৩২, নৌবাহিনীর ১১, ডিজিএফআই ৭ ও ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৯ জন।
[৫] তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ঝুম নিয়ন্ত্রণ বনবিভাগের দুইজন কর্মচারী করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ জেলা চাঁদপুর চলে যায়।
[৬] মো.সাখাওয়াত হোসেন ও মো.নাছির বনবিভাগের দুইজন কর্মচারী একই জেলায় বাড়ী হওয়ার সুবাধে একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর মারা গেছে। এসব সরকারি-বেসরকারি রাঙ্গামাটিতে কর্মরত অধিকাংশ অন্য জেলায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে।
[৭] যেমন পার্বত্য চট্টগ্রাম ঝুম নিয়ন্ত্রণ বনবিভাগের কর্মচারী সাখাওয়াত হোসেন করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর গেলে সেখানে গত ৯ জুলাই মৃত্যু হয়। তেমনি বিলাইছড়ির এলজিইডি উপ-সহাকারী প্রকৌশলী আনোরুল ইসলাম করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে মৃত্যু হয়।
[৮] এর আগে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুস ছোবাহান করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়। ৭ জুলাই রাঙ্গামাটি চম্পক নগর এলাকার শিবু চাকমা কাপ্তাই প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে মৃত্যু হয়। সম্পাদনা : হ্যাপি