আকতার বানু আলপনা: আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের পক্ষে নই। কারণ আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকেই গরিব, যাদের ক্লাস করার জন্য এতো এতো নেট কেনার পয়সা নেই। আরও পরিষ্কার করে বললে বলতে হবে, অনেকের ঘরে খাবার পর্যন্ত নেই। ছুটির মধ্যে আমরা ছাত্র-শিক্ষকরা চাঁদা তুলে দুই দফায় আমাদের শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়েছি। তাছাড়া আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকেই দূরবর্তী এলাকায় থাকে, যেখানে নেট নেই, বিদ্যুৎ নেই। আমরা এটাও জানি, বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকায় নেট থাকলেও তা খুব ধীরগতি। আবার কখনো কখনো নেট থাকেও না। এ রকম বাস্তবতায় অনলাইনে ক্লাস আমার কাছে বিলাসিতা মনে হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেকটা তামাশার মত। আমার আরও একটি কনসার্নের জায়গা আছে। সেটি হলো- হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে একজন শিক্ষার্থী তার মেধার জোরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়।
কোন অজুহাতেই আমি সেই শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করতে পারি না। তার শিক্ষার অধিকার হরণ করতে পারি না। শিক্ষক হিসেবে প্রতিটা শিক্ষার্থীকেই শেখানো আমার দায়িত্ব। তাই উপরোক্ত যেকোন কারণে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র একজন শিক্ষার্থীও অনলাইন ক্লাসের বাইরে থেকে যায়। তাহলে শিক্ষক হিসেবে আমি ওই শিক্ষার্থীর কাছে দোষী। অনলাইন ক্লাসের নামে তার শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেওয়ার অপরাধে আমি অপরাধী। এই দায় আমি কখনোই নিতে চাইনা। কাউকেই আমি শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে চাইনা। তাই আমার পরামর্শ হলো, আরও কিছুদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হোক এবং ততদিন শিক্ষার্থীরা নিজে নিজে পড়ুক। পরে প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ছুটিসহ সবরকমের ছুটি বাতিল করে নিয়মিত ক্লাস নিয়ে। তাদের ক্লাসের ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়া হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :