পিরোজপুর থেকে বিপ্লব বিশ্বাস :[২] মাছ আড়তের কেরানি। যাকে তার নিজ এলাকায় চিনতো "মাছ মোস্তফা"বলে। মাছের আড়তদারি করে তৈরী করেছেন মহিমা নামে একটি ক্লিনিক। অনুমতি ছিলনা সংশিষ্ট কোনও দপ্তরের। সেই ক্লিনিক এ "মাছ মোস্তফা" নিজেই করতো সিজারসহ অন্যান্য অপরেশন। অবশেষ র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে ধরা খেলো মাছ মোস্তফা। ঘটনার অবতরণস্থান পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানা এলাকায়।
[৩ ]জানা যায়, গোপন খবরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী এবং র্যাব-8 এর ভ্রাম্যমান আদালত উপজেলার তিনটি ক্লিনিকে অভিযান চালায় এ সময় ধানী সাফায় হাজী আব্দুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
ভুয়া ডাক্তার আমির হোসেন ভূঁইয়া (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
[৪]এরপর ভ্রাম্যমান দলটি মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর ছোট মাছ বাজার সংলগ্ন মহিমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক ও মাছ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা (৪০)কে গ্রেপ্তার করে। র্যাব জানতে পারে, দীর্ঘদিন ধরে এই মোস্তফা ভূয়া ডাক্তার এনে এই clinic এ অপারেশন করায়। এর বিনিময় জনগণের সাথে প্রতারণা করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। এসব অপরাধে তাকে ভ্রম্যমান আদালত ৩ মাসের কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মোস্তফা র্যাবের কাছে সীকার করেন, তিনি নিজেই সিজারিয়ান রোগীর অপারেশন করতেন। কিন্তু তার পেশা মাছের আড়তদারি। তাছাড়া তার সহযোগী ভুয়া ডাক্তার এ এইচ ভূইয়া সুজনকে দিয়েও তিনি একই কাজ করাতেন। আদালত এ বিষয় তথ্য প্রমান পেয়ে তাকেও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
[৫]এ ছাড়া সৌদি প্রবাসী হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার আমির হোসেন ভূঁইয়াকে দিয়ে বিভিন্ন সময়ে অপারেশন করানোর অপরাধে ওই হাসপাতালের মালিক মো. মনির হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে র্যাবের এই ভ্রাম্যমান আদালত।
অত্র এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে এই সব অবৈধ clinic থেকে জেলা সিভিল সার্জনের কতিপয় কর্মকর্তা এ অবৈধ রমরমা ব্যবসা থেকে নিয়মিত মাসহারা পান বলে জনস্রতি রয়েছে।