লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ রোগের কারণে ঈদ উল ফিতরের সময় ব্যবসায় বিশাল ধস গিয়েছে। আসন্ন ঈদ উল আযহায় ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছিলেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসার আশায় ডিসকাউন্ট দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্খিত ক্রেতাদের দেখা।
[৩] রাজধানীর শপিংমলগুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে, ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের রেডিমেট দোকানের বিভিন্ন পণ্যে ডিসকাউন্টের (ছাড়) প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাখলেও ক্রেতাদের দেখা নেই। বিক্রেতারা প্রতিদিন দোকান খুললেও অলস সময় পার করছেন।
[৪] রাজধানীর শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। এরপর বসুন্ধরা শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন কয়েকহাজার টাকা খরচ থাকলেও আয় নেই তার অর্ধেকও।
[৫] বসুন্ধরা শপিং মলের কাপড়ের দোকানি সোহেল বলেন, দোকান খুলে কি লাভ? মার্কেটে ক্রেতাই নেই। তাদের আশায় সারাদিন বসে থাকা ছাড়া কোনো কাজ নেই আমাদের।
[৬] ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মৌচাক মার্কেটের দোকানি শফিক বলেন, আমাদের সারা দিনে বেচাবিক্রি হাজার টাকা বা তার বেশি। অথচ দোকনের ষ্টাফ খরচই প্রতিদিন ২ হাজার টাকা। তারপর দোকান ভাড়া ও আনুসাঙ্গিক খরচতো আছেই।
[৭] বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকার থেকে নির্ধারিত সময় দেয়ার পর মার্কেট ও দোকান খোলা হয়েছে। দোকানে ক্রেতার সমাগম কম আমরাও জানি। কিন্তু আরো একটু সময় দিতে হবে। আগামী সপ্তাহের দিকে জমে উঠতে পারে ঈদ বাজার। । সবাইকে স্বাস্থ্যসেবা মেনে কেনা-বেচার পরামর্শ দেন তিনি।