শাহীন খন্দকার : [২] আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরও বলেন, সরকার ও এনজিওগুলো গরিব মানুষকে কাপড়ের মাস্ক ‘উপহার’ হিসেবে দিলে এর ‘ব্যবহার’ বাড়বে। আইন কিংবা পুলিশ দিয়ে নয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে মাস্ক পড়ার গুরুত্ব বোঝাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। মাস্ক পরতে জোর করলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মনে করবে, ধনী ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাঁচানোর লক্ষ্যেই সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। ফলে এমনটি করা যাবে না।
[৩] রাজধানী ঢাকা, বস্তি এলাকা, জেলাশহর, গ্রামগঞ্জে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সর্ম্পকে সচেতন করতে হবে। সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওগুলোকেও এগিয়ে আসতে মানুষকে কোভিডের ভয়াবহ সম্পর্কে সচেতনার প্রচারণায়।
[৪] রাষ্ট্রের উর্ধ্বতনকর্মকর্তা ও ধনাঢ্য ব্যক্তির মৃত্যু হলে যেভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়, গরিব মারা গেলে তেমনটি হয় না|ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, মধ্যবিত্ত্ব কিংবা নিম্নমধ্যবিত্তরা মাস্কপরতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
[৫] সাধারণ মানুষ মনে করছে, গরিবের করোনা হয় না, রোগ হয় ধনী ও সরকারের উর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গের।
আপনার মতামত লিখুন :