আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] ভারতের সেনা সদরের একটি সূত্র জানিয়েছে, উত্তেজনা হ্রাসে এই পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। তবে শুধু গালওয়ান নদী খাতেই এমনটি হয়েছে। প্যাঙগন লেক এলাকায় পরিস্থিতি এখনও আগের মতোই আছে। দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি
[২] শুধু চীন নয়, দু দেশই গালওয়ান নদী খাত থেকে নিজ নিজ তাবু সরিয়ে নিচ্ছে। ফলে উত্তেজনা কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই ‘বাফার জোন’ স্থায়ী কিনা, তা জানায়নি কোনও পক্ষই।
[৪] ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের উবরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গালওয়ানে এক থেকে দুই কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চীনা সেনারা। তবে গালওয়ান নদীর তীরে এখনও পিপলস লিবারেশন আর্মির সাঁজোয়া গাড়ি রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
[৫] কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে জানানো হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় মোতায়েন ভারতীয় বাহিনীও আগের অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে। এনএনআই জানিয়েছে, গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে গত ২২ এবং ৩০ জুন কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের ফলশ্রুতিতেই এই ‘ডিসএনগেজমেন্ট’।
[৬] তবে গালওয়ান ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় প্রক্রিয়া কার্যকর হলেও প্যাংগং লেকের উত্তরে চীন সেনা সরবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরা। কারণ সেখানে ফিঙ্গার এরিয়া ৪ থেকে ৮-এর মধ্যে একাধিক স্থানে রাস্তা, কালভার্ট, কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করে স্থায়ী ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে দেশটি। ফলে এলএসি সংলগ্ন এলাকায় টহলে যেতে পারছে না ভারতীয় সেনারা।
[৭] গত ১৫ জুন এই ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টেই চীনা সেনাদের সঙ্গে হাতাহাতি লড়াইয়ে প্রাণ দেয় এক কর্নেলসহ ২০ ভারতীয় সেনা। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :