শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২০, ০৫:৩১ সকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২০, ০৫:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লালগ্রহের সবচেয়ে বড় চাঁদ, ধরা পড়ল মঙ্গলযানের ক্যামেরায়

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মার্স অরবিটার মিশন বা মম-এর ক্যামেরায় ধরা পড়ল মঙ্গল গ্রহের বৃহত্তম চাঁদ ফোবোসের ছবি। ফোবোস নামে মঙ্গলগ্রহের এই উপগ্রহটি লালগ্রহের অন্য উপগ্রহের তুলনায় আকারে সবচেয়ে বড়। এটি মঙ্গলেও সবচেয়ে কাছেও অবস্থিত।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, গত ১ জুলাই মম ফোবোসের ছবিটি তোলে। সেই সময় মমের অবস্থান ছিল মঙ্গলগ্রহ থেকে ৭,২০০ কিলোমিটার এবং ফোবোসের থেকে ৪,২০০ কিলোমিটার দূরে। ফোবোসের এই ছবিটি প্রকাশ করে ইসরো জানিয়েছে যে এটির Spatial resolution হল ২১০ এম। কারবোনাসিকিউ কনড্রাইটিস দ্বারা ফোবোস নির্মিত বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

ফোবোসের অন্তর্গত গভীর খাদ এবং পাহাড় এই ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরো। ফোবোসের সবচেয়ে বড় খাদটির নাম হল স্টিকনে (Stickney)। মার্স অরবিটার মিশন বা মমের তোলা এই ছবিতে স্টিকনে ছাড়াও স্কলোভস্কি, রোশে এবং গ্রিলড্রিগ নামে ফোবোসের অন্যান্য খাদগুলোও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
ইসরোর এই মঙ্গলযান মিশন প্রথমে ছয় মাসের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। তবে পরে ইসরো জানায় যে এর মধ্যে যতটা জ্বালানি আছে, তাতে বেশ কয়েক বছর নিজের কাজ করতে পারবে মঙ্গলযান। ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ভারত সফল ভাবে মঙ্গলের কক্ষপথে মার্স অরবিটার মিশন বা মমকে স্থাপন করে। প্রথম চেষ্টাতেই লালগ্রহে মহাকাশাযান পাঠিয়ে মহাকাশচর্চার এলিট ক্লাবে নিজেদের জায়গা করে নেয় ভারত।

২০১৩-র ৫ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ইসরোর নিজস্ব পিএসএলভি রকেটের সাহায্যে (PSLV rocket) মঙ্গলযানের উত্‍‌ক্ষেপণ করে ভারত। ২০১৩-র ১ ডিসেম্বরে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সীমানা পেরোয় মঙ্গলযান। লালগ্রহের মিনারেল কম্পোজিশন ও আবহাওয়ার বিষয়ে তথ্য পাঠানোই মূলত মঙ্গলযানের কাজ।

মঙ্গলগ্রের দুটি স্বাভাবিক উপগ্রহ রয়েছে। তার মধ্যে একটি ফোবোস এবং অন্যটির নাম হল ডেমিনোস। ১৮৭৭ সালে মার্কিন অ্যাস্ট্রোনমার অ্যাসাফ হল মঙ্গলের এই দুটি উপগ্রহ বা চাঁদই আবিষ্কার করেন। ফোবোসের আয়তন মাত্র ১১ কিলোমিটার। তবে মঙ্গলের অন্য উপগ্রহ ডেমিনোসের থেকে এটি সাত গুণ বড়। গ্রিক দেবতা ফোবোসের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলগ্রহকে ৬০০০ কিলোমিটার দূর থেকে প্রদক্ষিণ করে ফোবোস। এটি তাড়াতাড়ি মঙ্গলগ্রহকে পরিক্রমা করে যে মঙ্গলের একবার নিজের চারদিকে ঘুরতে যত সময় লাগে, তার চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি এটি মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করে। মঙ্গল গ্রহকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ফোবোসের সময় লাগে মাত্র ৭ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট। সেই কারণে লাল গ্রহের মাটিতে দাঁড়িয়ে মঙ্গলের একটি দিনে দু-বার ফোবোসকে উদয় হতে ও অস্ত যেতে দেখা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়