শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:৫২ সকাল
আপডেট : ০৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বিয়ের খাবার যাচ্ছে মা-শিশু হাসপাতালে

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] কনের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া এলাকায়। বরের বাড়ি ভারতের হায়দারাবাদে। বিয়ে হচ্ছে আমেরিকার নিউইয়র্কে। কিন্তু করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির এই কঠিন সময়ে থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। আয়োজন হচ্ছে না ঝাঁকঝমকপূর্ণ অনুষ্ঠান।

শনিবার আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে আকদ অনুষ্ঠান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার ৯০০ মানুষের খাবার দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে সাধারণ মানুষের অর্থে পরিচালিত বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে।

[৩] জানা যায়. চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী মেডিকেল শিক্ষার্থী ফাইজা চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে ভারতের হায়দারাবাদের বাসিন্দা আমেরিকার নিউ ইয়র্কের প্রবাসী চার্টার্ড একাউনটেন্ড মহিউদ্দিনের। শনিবার নিউইয়র্কের একটি মসজিদে হবে আকদ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের দিনই চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রায় ৪০০ চিকিৎসক-নার্স এবং করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ১০০ রোগীর জন্য সরবরাহ করা হবে খাবার। দুপুরে ৫০০ এবং রাতে ৪০০ জনের খাবার চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে দেওয়া হবে।

কনের মামা আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘আজ আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় একটি মসজিদে আকদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। অনুষ্ঠানের দিন দুপুর ও রাতের খাবার মা ও শিশু হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক-নার্স এবং ভর্তি থাকা করোনা রোগীদের চট্টগ্রাম ক্লাব দেওয়া হবে। এর বাইরে আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না।’

[৪] তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির এই দুর্যোগের সময় বেসরকারি মা ও শিশু হাসপাতাল করোনা ও সাধারণ রোগীর স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। তাই বিয়ের আয়োজনের খাবারগুলো হাসপাতালে দেওয়াটা সমীচিন মনে করছি।’

মা ও শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘একটি বিয়ের বরযাত্রার সবটুকু খাবার হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি বড় বিষয়। তাদের মানসিকতা দেখে আমরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছি। কার্যত কনের মামা আরিফ চৌধুরীর উৎসাহে কাজটি করা সম্ভব হয়েছে।’

[৫] হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ শয্যার ১৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করে শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবার সিদ্ধন্ত নেয়। বর্তমানে চলছে ৩২ শয্যায় করোনা রোগীর চিকিৎসা। প্রস্তুত করা হয় ভ্যান্টিলেটর সুবিধাসহ ৭০ শয্যার প্রি-আইসোলেশন ওয়ার্ড, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা ও ফ্লু কর্নার। নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় আছে চিকিৎসকদের আবাসন ব্যবস্থা। একই সঙ্গে এ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৮০০ শয্যায় চলছে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা।

১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামের কিছু মহৎ প্রাণ সমাজ হিতৈষীর উদ্যোগে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়। ক্রমে এটি চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পরিণত হয়। বর্তমানে এ হাসপাতালে ৭০ জন প্রফেসর, ৫০ জন লেকচারার, ১৬০ জন মেডিকেল অফিসার ও রেজিস্ট্রার, ২৫ জন কনসালটেন্ট, ৩৭০ জন নার্স, ১২৫ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি, ১০৩ জন নিরাপত্তকর্মী ও ১১৫ জন পরিচ্ছন্নকর্মী আছে।বিডি প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়