আর রাজী: একটা রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি রাষ্ট্রের চতুর্থ-স্তম্ভর মর্যাদা দেওয়া হয় একে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের এই গুরুত্ব ও মর্যাদার কথাটি সব রাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের জন্য সত্য নয়। কেবল ‘গণতান্ত্রিক’, খেয়াল করুন, কেবল ‘গণতান্ত্রিক’ রাষ্ট্রেই সংবাদ-মাধ্যমের এই গুরুত্ব ও মর্যাদা স্বীকৃত। ইতিহাস বলে, সংবাদমাধ্যমগুলো আফসারাফ পাইনি এই গুরুত্ব ও মর্যাদা। রক্ত আর স্নায়ুক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারা তা আদায় করে নিয়েছে। শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে সাধারণ মানুষের পাশে সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে, কখনো কখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মশালটা হাতে তুলে নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো ওই সম্মানের আসনে অভিষিক্ত হয়েছে।
‘অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সাংবাদিকের ফুটো-পয়সার মূল্য নাই’- ইতিহাস থেকে পাওয়া এই শিক্ষার কারণেই দেশে দেশে সাংবাদিকরা গণতন্ত্র রক্ষা ও সুরক্ষার লড়াইয়ে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যান। ইতিহাস বলে, প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের দয়া বা সরকারের অনুগ্রহ সাংবাদিকদের রক্ষা করেনি কখনও, কোথাও। তাদের রক্ষা কবজ, একমাত্র রক্ষা কবজ- গণতন্ত্র। গণতান্ত্রিক প্রতিটি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মানুষের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া, মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো- এই বিশেষ যোগ্যতার কারণেই সাংবাদিকের সাধারণ্যে এতো কদর। যতোক্ষণ সাংবাদিকের এই বিশেষ যোগ্যতা থাকে ততোক্ষণ জনগণই তাদের রক্ষক, উপাসক। গণতন্ত্রহীন সমাজে সাংবাদিকতা মুমূর্ষু হতে বাধ্য- এ এক নিষ্ঠুর কিন্তু অনিবার্য সত্য। ফেসবুক থেকে