বাশার নূরু: [২] হাসপাতালের বিল জমা দিতে না পারায় এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্মীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে সিসিটিভিতে।
[৩] বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। জানা গেছে, সুলতান খান নামের ওই ৪৪ বছরের শ্রমিক স¤প্রতি একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। সঙ্গে ছিলেন তার ভাতিজা চমন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরে সুলতানের প্রস্বাবের সমস্যা হচ্ছিল। তাই ডাক্তার দেখাতে যান তিনি।
[৪] চমন জানান, আমরা প্রথমে জানতে চাই চিকিৎসা করাতে কত খরচ হবে। তাতে হাসপাতাল জানায়, আল্ট্রাসাউন্ড করার পরে বলা যাবে। কিন্তু আল্ট্রাসাউন্ডের আগেই ওষুধের জন্য আমাদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেটা আমরা দিয়ে দিই। কয়েক ঘণ্টা পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, প্রতিদিনের বেড ভাড়া বাবদ ৪ হাজার টাকা দিতে হবে।
[৫] চমন বলেন, এত টাকা আমাদের কাছে ছিল না। তাই আমরা হাসপাতালকে বলি কাকাকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু হাসপাতাল কাকাকে ছেড়ে দেওয়ার পরেও হাসপাতালের কর্মীরা আমাদের উপর নজর রাখে। আমাদের ধরে ৪ হাজার টাকা চাওয়া হয়। আমি বলি, কাকার অবস্থা ভাল নয়। তাই আমি ওদের কাছে হাতজোড় করে আমাদের ছেড়ে দিতে বলি। তাতে ওরা আমাদের মারতে থাকে। আঘাতেই কাকা সুলতানের মৃত্যু হয়েছে।
[৬] অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তরফে দানিশ আলি নামের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই রোগী হাসপাতালের ২ হাজার টাকার বিল মেটাননি। কর্মীরা সেই টাকা চাইলে তিনিই কর্মীদের উপর হামলা চালান।
[৭] এই ঘটনা রাস্তায় থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে রোগী ও তার আত্মীয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছে হাসপাতাল কর্মীদের। তারপর কর্মীরা হাসপাতালের ভিতরে গিয়ে আরও লোককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসে। সবার হাতে লাঠি ছিল। তারপরেই বেধড়ক মারতে শুরু করে তারা। এই মারের চোটেই সুলতানের মৃত্যু হয়।
[৮] সুলতানের পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় থানার তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্র: আজকাল