লাইজুল ইসলাম ও মহসীন কবির : [২] বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
[৩] তিনি জানান, কোভিডে মোট মারা গেছেন ১৯২৬ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৭৭ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন এবং নারী ৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন, ষাটোর্ধ্ব আটজন, সত্তরোর্ধ্ব সাতজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন। তাদের ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগে, একজন রংপুর বিভাগের, দুইজন সিলেট বিভাগের এবং দুজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। ৩৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
[৪] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৭ জনের। এরমধ্যে আগের সংগ্রহ মিলে ১৮ হাজার ৩৬২ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ দুই হাজার ৬৫৭ জনের। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
[৫] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৩৪ সুস্থ হয়েছেন জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৬৪৪২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
[৬] অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছে ৮৩৪ জন, এই হার ৪৩ দশমিক ৩১ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৬০ জন, এই হার ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮৫ জন, এই হার ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪৬ জন, এই হার ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬৭ জন, এই হার ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২২ জন, এই হার ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। ১০ বছরের নিচে ১২ জন, এই হার দশমিক ৬২ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
[৭] আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
[৮] দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :