শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২০, ০৬:৫৫ সকাল
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২০, ০৬:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তাহলে তো ফরসা হওয়াও দোষের !

ডেস্ক রিপোর্ট : সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ফের আলোচনায় মানুষের গায়ের রং। গায়ের রঙের কারণে বাংলাদেশের শোবিজে কি কেউ অসুবিধায় পড়েন বা সুবিধা পান?

সুবিধা যেমন পেয়েছি আবার অসুবিধাও পড়েছি

তানভীন সুইটি

আমি ডার্ক। এ জন্য প্রাউড ফিল করি। যাদের টোন একটু ডার্ক, টিভি পর্দায় তাদের দেখতে ভালো লাগে। আমাদের সমাজ বা মিডিয়ায় আগে হয়তো অনেকে অসুবিধায় পড়ত, এখন কেউ অসুবিধায় পড়ছে বলে খুব একটা শুনি না। অনেক পরিবার অবশ্য ছেলের বউ করার জন্য ফরসা মেয়ে খোঁজে। সেখানে যোগ্যতাটা অনেক সময় মুখ্য হয় না। তবে হ্যাঁ, অভিনয়জীবনের প্রথম দিকে মেকআপটা একটু বেশিই করতে হতো। সমাজে ফরসা মেয়েদের কদর, সেটার প্রতিফলন তো মিডিয়ায় পড়েই, তাই বেশি মেকআপ করে ফরসা হতে হতো। শুরুর দিকে এ রকম টুকটাক সমস্যায় যে পড়িনি, তা নয়।

কাঠগড়ায় গায়ের রং

আমার অভিনীত ‘রুপালি নদীর ঢেউ’ কমনওয়েলথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। চা বাগানের ওপর নাটকটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও কমনওয়েলথ। লন্ডন থেকে একজন মহিলা পরিচালক এসেছিলেন। সে সময়ের নামি শিল্পীরা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। অনেক সিনিয়র-জুনিয়র ফরসা অভিনেত্রীও গিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচিত হয়েছি আমি। একটা চা বাগানের মেয়ের ত্বক তো ডার্ক হবেই। সুবিধা যেমন পেয়েছি, আবার অসুবিধাও পড়েছি। ‘ও তো একটু ডার্ক’—এমন কথা শুনেছি। মন খারাপ হয়েছে। যখন নিজের যোগ্যতায় উঠে এসেছি তখন আবার মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছে।

কালো হওয়া দোষের হলে ফরসা হওয়াও দোষের

জ্যোতিকা জ্যোতি

ছোটবেলায় অনেকবার শুনেছি আমি কালো, সে জন্য মনও খারাপ হতো। নিজের গায়ের রং আমার ভীষণ প্রিয়। আমার অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে অনেকে বলেছেন, এ টোনটা ক্যামেরাবান্ধব। তবে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা মনে করেন নায়িকা মানেই তাকে ফরসা হতে হবে। সমাজের মতো মিডিয়াতেও আছে। আসলে গায়ের রং দিয়ে সৌন্দর্য যাচাই হয় না। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমার গায়ের রং ওভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। টালিগঞ্জে ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ করলাম, ২০০৬-০৭-এর দিকে ঢালিউডের অনেক বাণিজ্যিক সিনেমার প্রস্তাব ছিল। তখন করিনি ছবির মান ভালো ছিল না বলে। হতে পারে অনেক পরিচালক গায়ের রঙের জন্য আমাকে নেননি। তবে আমি এমন ঘটনা খুব কম ফেস করেছি। আড়ালে-আবডালে হয়তো শুনেছি। কালো বলে আমাকে যদি কেউ রিজেক্ট করে তাতে আমি এক দিক দিয়ে খুশিই—এ রকম বুদ্ধিহীন মানুষের সঙ্গে কাজটা করতে হয়নি। কালো হওয়া যদি দোষের হয়, তাহলে অনেকের কাছে তো ফরসা হওয়াও দোষের হতে পারে। কবরী আপা একবার আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমার চেহারার মধ্যেই বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও নাটকে যেসব অভিনেত্রী বা নায়িকা বিভিন্ন সময়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন তাঁদের বেশির ভাগের গায়ের রংই কিন্তু ডার্ক।

সূত্র : কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়