আশরাফ আহমেদ : [২] কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।। ভেঙে পড়েছে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি। আয় রোজগার না থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবৃত্তদের অবস্থা অনেকটা নাজুক। বিশেষ করে যারা বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ও মাল্টিপারপাস প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছেন।
[৩] সরকার যেখান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চলতি মাসের ৩০ জুন পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি শিথিলযোগ্য করা হলেও তা বাড়িয়ে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সেখান কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ছোট-বড় বেসরকারি সংস্থাগুলো কয়েক দিন ধরে ঋণ পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
[৪] উপজেলায় ছোট-বড় ২০-২৫টি ঋণদানকারী সংস্থা ও এনজিও রয়েছে। এসব এনজিওগুলো চড়া সুদে ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে এ দুর্যোগ মুহূর্তে অসচ্ছল ও দরিদ্র পীড়িত মানুষের পক্ষে ঋণ পরিশোধ করা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
[৫] নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে।
[৬] পপি এনজিও মাঠকর্মী স্বপন সরদার জানান,কোন গ্রাহক স্বইচ্ছায় ঋণ পরিশোধ করলে তা নেওয়া হয়। জোর করে কখনো ঋণ আদায় করা হয় না।
[৭] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম জাহিদুর রহমান জানান, উপজেলায় এখনো পর্যন্ত জোর করে ঋণ আদায়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে এনজিও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :