আবুল কালাম:[২] আসন্ন কোরবানির ঈদের আর এক মাস বাকি থাকলেও মুখে হাসি নেই পাবনার হাজার হাজার খামারিদের। চিন্তার ছাপ তাদের আঁকড়ে ধরেছে। ধার-দেনা করে সারা বছর গরু লালন পালন করে কোভিডের এসব গরু, ছাগল, মহিষ বিক্রি করাই এখন দায় ।
[৩] পাবনা জেলার সদর, আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি খামার রয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজার ছোটবড় খামারী দেড় লাখ গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া মোটাতাজা করেন কোরবানি হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে। সারা বছর কষ্ট করে হলেও এসব পশু পালন করেন তারা।
[৪] বিগত কোরবানি ঈদগুলোতে ঈদের একমাস আগ থেকেই রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারীরা গ্রামে গ্রামে গরু কিনতে শুরু করেন।
[৫] কিন্তু এবার ঈদ আসলেও গরু কেনার কোন পার্টি নেই। দু একজন ব্যাপারী আসলে এক লাখ টাকার গরু দাম বলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
[৬] জেলার পুষ্পপাড়া, একদন্ত, হাজিরহাট, কাশিনাথপুর, চতুরহাট, করমজা, বেড়া, ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহরের মত বড় বড় পশুর হাটগুলিতে তেমন সাড়া নেই।
[৮] সদর উপজেলার চকউগ্রগড়, জোয়ারদহ, জয়কৃষ্ণপুর, গয়েশপুর, জালালপুর, শালাইপুর এলাকার খামারি শহিদ শেখ, আযম শেখ, আজিজল মল্লিক, তাজু প্রামানিক, মফিজ মন্ডল, আয়েজ উদ্দিন, হান্নান হুজুর জানান, ভ’ষি, খৈল, সয়াবিন, ভ’ট্টাসহ গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু লালন পালনে এবার খরচও একটু বেশি হয়েছে। তারপর যদি বিক্রি না করতে পারি তাহলে পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না খামারিদের।
[৯] পাবনা জেলাপ্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. আল মামুন জানান, খামারিদের হতাশ হওয়ার কোন কারন দেখি না। করোনার কারণে ভারত থেকে এবার কোন গরু আমদানি হচ্ছে না। দেশীয় গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটাতে হবে। সুতরাং খামারিরা তাদের তৈরি গরু ছাগল বিক্রি করেই বেশ লাভবান হবেন এমনটাই আশা করা যায়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান