শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২০, ০৭:৫৬ সকাল
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২০, ০৭:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক ও চালক কোথায়?

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার (২৯ জুন) লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দায়ী লঞ্চ ময়ুর-২ এর মালিক ও চালকের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পরও তাদের আটক করা যায়নি। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এই লঞ্চের মালিক, চালক, মাস্টার, সুপারভাইজার কোথায়? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার পর থেকে তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৯টার দিকে সদরঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ুর-২ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা ‘মর্নিং বার্ড’ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অন্তত ৩০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, লঞ্চে শতাধিক যাত্রী ছিলেন।

[৩] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়ুর-২ লঞ্চের মালিকের নাম মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ। ঢাকার বাসিন্দা এই মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদের কোম্পানির নাম সি-হর্স করপোরেশন। তিনি ময়ুর-২ লঞ্চের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন এই কোম্পানির নামে।

ময়ুর-২ লঞ্চের নামে খোলা ফেসবুক পেজে পাওয়া দুটি নম্বরে (০১৭৫৯৯৪৪১৪৪ ও ০১৭৩২৫৫০৫৪৮) যোগাযোগ করেও এই লঞ্চের মালিক, সুকানি, মাস্টার, সুপারভাউজার কাউকেই পাওয়া যায়নি। নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

[৪] জানা গেছে, ময়ূর-২ লঞ্চের চালক শিপন হাওলাদার। যোগাযোগ করা হলে বর্তমানে তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে শিপন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকদিন ধরেই ছুটিতে আছি। ঘটনার সময় আমি লঞ্চ ছিলাম না।’ তার অবর্তমানে লঞ্চের মাস্টার লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ময়ূর-২ এর আঘাতে ডুবে যাওয়া ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চের মালিক দুই জন। এরা হলেন— মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল গফুর। ‘তালতলা ওয়াটার ওয়েজ’ কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে মর্নিং বার্ড লঞ্চের। বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এই লঞ্চের দুই মালিকের কাউকেই পাওয়া যায়নি।

[৫] এ বিষয়ে জানতে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে আইসোলেশনে বাসায় রয়েছেন। আলমগীর হোসেন বলেন, ‘হয়তো ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, চালক, সারেং, মাস্টার, সুকানি, সুপারভাইজার গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে অবশ্যই তাদের ধরা পড়তেই হবে।’

[৬] তিনি জানান, যদিও লঞ্চের মালিকের রেসপন্সিবিলিটি রয়েছে। তবে দুর্ঘটনার জন্য চালক, মাস্টার, সুপারভাজার সমানভাবে দায়ী।’ বাংলা ট্রিবিউন, প্রিয়ডটকম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়