ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : [২] প্রতারকরা করোনাকালের দুঃসময়কে পুঁজি করে গ্রামে গ্রামে অভিনব ফাঁদ পেতে চুরি করছে। কখনো আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে দাওয়াত করতে এসে টাকা ও সোনাদানা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
[৩] সদর উপজেলার হলিধানী বাজারে আলামিন নামে এক চোর দামি মটরসাইকেল হাকিয়ে চুরি করতে এসে ধরা পড়ে। অভিজাত ওই চোর চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের ইলিয়াস আলীর ছেলে। একই চোর গোবিন্দপুর গ্রামের আত্তাপের ছেলে বকুলের বাড়িতে আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে দুই জোড়া কানের দুল, সোনার চেইন দুইটা, দুইটি আংটি, পায়ের নুপুর, কপালের টিকলি ও চারহাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। দিনমজুর বকুল এ সব হারিয়ে এখন দিশেহারা।
[৪] এই অভিনব ছিনতাইয়ে পথে বসে কৃষক কাকিলাদাড়ী গ্রামের কুড়োন মন্ডলের ছেলে আসাদুল ইসলাম। কালীগঞ্জে শিপন কম্পিউটারে চুরির ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেণী ইউনিয়নের দুলালপুর গ্রামের শামছুদ্দিন ও রেজাউলের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। একই উপজেলার সাতগাছি গ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামে সুলতান মিয়া নামের এক কৃষকের বাড়িতে ডাকাতি হয়।
[৫] এ সময় কৃষকের ৮ টি গরু, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল, বিদেশী কম্বলসহ মালামাল লুট করে বলে ওই পরিবারটি জানায়। রাত আড়াই টার দিকে ট্রাক ও পিকআপ নিয়ে ডাকাতরা ডাকাতি করে চলে যায়। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান বংকিরা গ্রামের সুজন বিশ্বাসের সম্বল বলতে একটি ইজিবাইক ছিল। দায় দেনা করে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই সড়কের অগ্রযাত্রা বাইক সেন্টার থেকে এই গাড়ি কিনে দেন তার ভগ্নিপতি বকুল জোয়ারদার।
[৬] প্রতিদিন ভাড়া মেরে সংসার চালাতো সুজন। গত ১৩ জুন যাত্রীবেশে দুই ছিনতাইকারী তার ইজিবাইক ভাড়া নেয়। পরদিন ১৪ জুন বিএডিসির সাধুহাটী কৃষি ফার্ম এলাকা থেকে সুজনের নতুন ইজিবাইক সেই অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরাই ভাড়া নিয়ে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়ে অজ্ঞানের ওষুধ খাইয়ে ছিনতাই করে। অভিযোগ পেয়ে সুজনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরার সন্ধান পায় পুলিশ। ২৫ জুন মাগুরাপাড়া গ্রামের বদর উদ্দীন মিস্ত্রির ছেলে আশিকুর রহমানের বাড়ি থেকে সুজনের ইজিবাইকের চাবি, মানি ব্যাগ ও স্যান্ডেল উদ্ধার হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী