মনিরুল ইসলামঃ [ ২] ৫দিন বিরতির পর মুলতবি বাজেট অধিবেশনের বৈঠক আজ ২৯ জুন আবার শুরু হয়েছে। সকাল ১১ টায় স্পীকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। আইন প্রণয়ন কার্যাবলী চলছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২০ উত্থাপিত হয়েছে। এটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। এরআগে আইন মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু ভার্চ্যুয়াল আদালত সর্ম্পকিত বিলের ওপর রিপোর্ট পেশ করেন।
প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
[৩] অধিবশনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদ উত্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। আজ অর্থবিল ও আগামীকাল সোমবার (৩০ জুন) মূল বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, এই বাজেট গণমানুষের বাজেট। দেশে এক অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। সারা বিশ্ব এক অদৃশ শক্তির বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে। আমরা লড়ছি। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন।
[৪]গত ১০ জুন শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা গত ১১ জুন নতুন অর্থ-বছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর দু'দিনের জন্য অধিবেশন মূলতবি করা হয়। গত ১৫ জুন নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল পাস হয়। এরপর বিরতি দিয়ে গত ২৩ জুন এক কার্যদিবস চলার পর এই অধিবেশন মুলতবি দেওয়া হয়।আগামী ৯ জুলাই বাজেট অধিবেশন শেষ হতে পারে বলে জানা গেছ।
[৫]আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। এবারের বাজেট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি। ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
[৬]কোভিড-১৯ ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় এই সংক্ষিপ্ত বাজেট অধিবেশন আরো সংক্ষিপ্ত করা হয় । একের পর এক সংসদ সদস্য -মন্ত্রী কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ায় সংসদের বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হচ্ছে।
[৭] ১০ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। ১১ জুন বিকাল ৩ টায় প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ১৫ জুন বিদায়ী বছরের সম্পূরক বাজেট পাস হয়। ২৩ জুন শুরু হয় প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মুল আলোচনা। এরপর প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। ডেপুটি স্পীকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সরকারি দলের আমিরুল হক মিলন, উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ এবং বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা ও জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
[৮]ইতোমধ্যে ১৭ জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্য কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া সংসদের মেডিকেল সেন্টারের নমুনা পরীক্ষায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। আর সংসদ ভবনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার বাহিনীর প্রায় দুশো সদস্য করোনা শনাক্ত হয়েছেন। যাদের বেশীর ভাগই ইতোমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন।