শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২০, ০৬:১৯ সকাল
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২০, ০৬:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]প্রযোজক বললেন, ‘কম্প্রোমাইজ’ করতে রাজি কি না…

বাশার নূরু।।[২] ভারতীয় চলচ্চিত্র জগত তো বটেই এর বাইরেও নতুন করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে ‘নেপোটিজম’ শব্দটি। কথা বলছেন অনেকেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিষয়টি উঠে এসেছে ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও টেলিভিশনের পরিচিত মুখ দেবলীনা দত্তের এক লেখায়।

[৩]অভিনয়ের শুরুর দিকে কীভাবে তিনি একজন প্রযোজকের মাধ্যমে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন শনিবার দেবনীলা সে প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায়।

[৪]তিনি লিখেছেন, বাধ্য হলাম কলম ধরতে। ইন্ডাস্ট্রিতে ২২ বছরের অভিজ্ঞতা। আজও মুখ বন্ধ করে থাকলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে।

’ইদানি শুনতে পাচ্ছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি ‘ফেভারিটিজম’ আছে, ‘নেপোটিজম’ বা স্বজনপোষণ নেই। এটা মিথ্যে কথা! ডাহা মিথ্যে বলছে লোকজন। শুধু স্বজনপোষণ নয়, এই ইন্ডাস্ট্রিতে মাফিয়ার আধিপত্য কিছু কম দেখলাম না।’

[৫]দেবলীনা লিখেছেন, আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে একটু ফিরে যাই। আজ থেকে ২২ বছর আগে আমার দ্বিতীয় ধারাবাহিককে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমাকে বলা হল, প্রযোজক দেখা করতে চেয়েছেন। তখন মা আমার সঙ্গে যেত, মা স্ক্রিপ্ট লিখত। কিছু ক্ষণ প্রযোজকের অফিসে অপেক্ষার পরে উনি বলে পাঠালেন, আমার সঙ্গে উনি একা কথা বলবেন।

তিনি লিখেছেন, গেলাম। ওমা! গিয়ে দেখি ওর টেবিলে ঠিক ওর মুখের সামনে একটা সিসিটিভি রাখা! আজ থেকে ২২ বছর আগে! আমি বুঝলাম, যত ক্ষণ আমরা বসেছিলাম সিসিটিভি দিয়ে উনি আমাকে আর মাকে দেখছিলেন। যাই হোক, এখনকার পরিচালক বা প্রযোজকদের মতো কোনও রাখঢাক না করেই উনি আমায় জিজ্ঞেস করলেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এসেছি আমি, ‘কম্প্রোমাইজ’ করতে রাজি কি না! চমকাতে দেখি, উনি আমাকে আরও সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন, প্রযোজকের সঙ্গে অভিনেত্রীর বোঝাপড়া, সখ্য না থাকলে ভাল কাজ হয় না। প্রযোজককেও আলাদা সময় দিতে হবে, তবেই পারস্পরিক সমঝোতা তৈরি হবে।

[৬]ভারতীয় এই অভিনেত্রী লিখেছেন, প্রযোজক বললেন, আমার চরিত্র, সংলাপ সব নিয়ে উনি কথা বলবেন। এমনকি, আমার জামাকাপড়ের মাপও উনি নেবেন! এটা শোনার পর আমি এক কথায় না বলে দিই ওর মুখের ওপর। তাতে উনি আমায় চ্যালেঞ্জ করেন, আমি নাকি ইন্ডাস্ট্রিতে এই মনোভাব নিয়ে টিকে থাকতে পারব না। শুনেছি, সব নায়িকার সঙ্গেই উনি এই ব্যবহার করতেন। ‘দর্জি প্রডিউসার’ নামে উনি বিখ্যাত ছিলেন। ছিলেন এই কারণে লিখলাম, আজ আর ওকে কেউ চেনে না। সমকাল, কালেরকন্ঠ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়