রাশিদ রিয়াজ : [২] চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান ও ক্যান্টাবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি যীশুকে শ্বেতাঙ্গ হিসাবে উপস্থাপন করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার বহু আগে বিতর্ক ওঠে আরবে জন্ম নেয়ার পর যীশুর চোখ কিভাবে নীল হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে ‘ব্লাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিবিসি টুডে প্রোগ্রামে আর্চবিশপ জাস্টিন বলেন যীশুর চিত্র নিয়ে আমাদের পুনরায় ভাবা উচিত। পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর যে আন্দোলনের দীপশিখা জ্বলে উঠেছে তারই আলোকে বিষয়টি নিয়ে ফের চিন্তা করা উচিত। সিএনএন
[৩] আর্চবিশপ বলেন হ্যা, অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত। যীশুকে বিভিন্ন দেশে ভিন্নভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। যীশু নিয়মিতভাবে বিশ্বজুড়ে অ্যাংলিকান চার্চ নেতাদের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করেছেন। তাদের অনেকে যীশুকে শ্বেতাঙ্গ হিসেবে উপস্থাপন করেনি।
[৪] জাস্টিন ওয়েলবি বলেন, তাদের চার্চে গেলে ভিন্ন যীশুকেই দেখা যায়। শ্বেতাঙ্গ নয়। কৃষ্ণাঙ্গ যীশুকে তাদের মাঝে দেখা যায়, চীনা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের যীশু হিসেবে যা সত্যিই সবচেয়ে বেশি সঠিক।
[৫] আর্চবিশপ আরো বলেন, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা ও বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়েই ভিন্নভাবে যীশুকে উপস্থাপন করা হয়েছে। কারণ আমরা কার উপাসনা করি তার চেয়ে বরং ঈশ্বরের সার্বজনীনতার কথা যিনি মনে করিয়ে দিয়ে আমাদের মাঝে মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
[৬] জাস্টিন ওয়েলবি যুক্তরাজ্যে সাম্রাজ্যবাদী ইতিহাস ও দাস ব্যবসার যোগসূত্র সম্বলিত স্মৃতিসৌধ, মূর্তি অপসারণের আহবান জানিয়ে বলেন, ক্যান্টাবারির ক্যাথেড্রালের মূর্তিগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।