শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার ‘একযোগে প্রকাশিত’ ভারতীয় সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের ঝড়: সাংবাদিকতার নৈতিকতা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ◈ তিন মাচ হা‌রের পর ইং‌লিশ লি‌গে জ‌য়ে ফির‌লো লিভারপুল  ◈ চীনের কাছে ৪ গো‌লে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের  ◈ কা‌রো চা‌পের মু‌খে রা‌শিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বন্ধ করবে না নয়াদিল্লি ◈ নেতানিয়াহুর ক্ষমা আবেদনের বিরুদ্ধে তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ ◈ সিরাজগঞ্জে রাতের অন্ধকারে রহস্যময় পরীর দেখা, এলাকায় চাঞ্চল্য ◈ শচীনকে টপকে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন কোহলি ◈ যেভাবে জাতীয় মহামারিতে রূপ নিলো অর্থপাচার ◈ সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা ◈ পৃথক হলো বিচার বিভাগ

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২০, ০৭:৫৩ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০২০, ০৭:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোরবানির গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাগেরহাটের খামারিরা

শেখ সাইফুল, বাগেরহাট প্রতিনিধি : [২] আসছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। কোভিডড-১৯ এর পরিস্থিতিতে হাটে কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে এবার চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বাগেরহাটের গরু পালনকারীরা। এ সংকটে খামারিরা কোরবানির হাটের ওপর ভরসা করতে পারছেন না। তাই ধারদেনায় বড় করা গরুগুলোকে বিক্রির চেষ্টা করছেন তারা। তবে, লোকসান পুষিয়ে নিতে প্রনোদনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

[৩] বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ডেইরি খামারে গরু মোটা-তাজাকরণ প্রকল্প এবং দুধ উৎপাদন চালু আছে। আর আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাগেরহাটের খামারীরা গরু মোটাতাজাকরণের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শেষ করেছে। খামারীরা স্থানীয় বাজারের জন্য ৫০হাজার গরু ও ১৫ হাজার ছাগল প্রস্তুত রেখেছে বলে নিশ্চিত করেছে বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।

[৪] বাগেরহাটেরর বিভিন্ন হাট ও খামার ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির এখনো এক মাসের বেশি থাকলেও হাটগুলোতে গরু উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু বেচা-বিক্রি একদম নেই। কোরবানি দাতা এবং পাইকার কারোরই দেখা মিলছে না।

[৫] বিক্রেতারা বলছেন, খামার থেকে গরু হাটে আনা অনেক কষ্টকর। কারণ, গরুগুলো সেখানে গরমের সময় ফ্যানের নিচে থাকে। হাটে আনার পর অস্থির হয় গরুগুলো। কিন্তু গরুর দাম অনুযায়ী ক্রেতা না থাকায় বিক্রি হচ্ছে না। সে কারণে আবার গরুগুলো ফেরত নিতে হয়। ফলে লোকসানের পাল্লা বাড়ছেই। সেই সঙ্গে কষ্ট বাড়ছে গরুগুলোর।

[৬] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাগেরহাটে কোরবানির পশুর চাহিদা শেষে অতিরিক্ত পশু বিক্রি হতো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ব্যাপারীদের আগাম আনাগোনা ছিলো। কিন্তু এবার এবার হাকডাক নেই তাঁদের। তাই অতিরিক্ত গরুগুলো বিক্রির সম্ভাবনা কম।

[৭] খামারিরা বলছেন, ঈদকে টার্গেট করে ধারদেনা বা ঋণ করে বড় করা গরুগুলোতে স্বপ্ন দেখতো খামারিরা। কিন্তু করোনায় সেই স্বপ্ন ফিকে। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ উঠবে না বলে উদ্বেগে খামারিরা। তাই কোরবানির হাট শুরু হতে মাসখানেক দেরি থাকলেও গরু পালনকারীরা এখনই তাঁদের গরু বিক্রির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। করোনাকালে কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকলে লাভের বদলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।

[৮] বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদক কর্মকর্তা ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠা ছোট বড় ১৫ হাজার গো-খামারে গরু প্রতিপালন করা হচ্ছে। এসব গরু বিক্রির জন্য ৯১ হাট বসার অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনতে প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত গো-খামারিদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়