আনিস তপন : [২] করেনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকার এলাকা ভিত্তিক লকডাউনে অধিক আক্রান্ত এলাকার ম্যাপিং ও বাস্তবায়নের কৌশল পত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।
[৩] এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধ পেলেই লকডাউনের জন্য নির্বাচিত এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে আদেশ জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
[৪] বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এটুআই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় এলাকাভিত্তিক লকডাউনের জন্য এলাকাভিত্তিক আক্রান্তের হারসহ এ সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত এবং করণীয় বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় ঠিক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি লক ডাউন কর্যকরে একটি কৌশল-পত্র তৈরী করে তা 'কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জাতীয় কমিটি'র কাছে পাঠানো হয়েছে।
[৫] এখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আক্রান্তের মাত্রা ও বাস্তবতার নিরিখে আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন পাঠাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় সংসদ সদসসহ জনপ্রতিনিধিগণ আবেদন পর্যালোচনা করে সিভিল সার্জনকে
সংশ্লিষ্ট এলাকায় লকডাউন ঘোষণার পরামর্শ দেবেন।
[৬] জোনিং ঘোষণা একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, এজন্য কোনো সুনির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ বলা যাবে না।
[৭] একই বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ঢাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিসসহ অনেক শিল্প-কারখানা রয়েছে। এ জন্য আগে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের জন্য ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে। তবে ঢাকায় একসঙ্গে বড় এলাকা লকডাউন না করে ছোট ছোট করে একটি এলাকাকে ভাগ ভাগ করে লকডাউন করা হবে। বড় এলাকা আসলে লকডাউন করার প্রয়োজন নেই। একটি এলাকার সবাইতো আর আক্রান্ত হবে না। একটি এলাকার যেখানে বেশি আক্রান্ত সেই জায়গাটার সব ধরণের মুভমেন্ট (চলাচল) বন্ধ করতে হবে। তাতে এখনও যারা আক্রান্ত হয়নি তাদের রক্ষা করা যাবে।
[৮] প্রশাসনিক বিষয় হওয়ায় রেড জোনের তালিকা ও ছুটি ঘোষণার আদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দিচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রেড জোনের তালিকা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রশাসনের কাছে ছুটি ঘোষণার অনুরোধ জানালেই প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আপনার মতামত লিখুন :