জামাল হোসেন, জীবননগর : [২] চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় দিন দিন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দু'দিনের ব্যবধানে জীবননগর ইসলামী ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ ১৩ জন ব্যাক্তির শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। উপজেলায় এপর্যন্ত আক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ জন।
[৩] সমপ্রতি ইসলামী ব্যাংকের সোলায়মান নামের একজন কর্মচারি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় পরীক্ষার পর প্রায় প্রতিদিনই ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ আক্রাস্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
[৪] জীবননগর উপজেলায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটি সূত্র জানায়, জীবননগর ইসলামী শাখার নাইট গার্ড সোলায়মান কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মারা যান। তার এ মৃত্যুতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার মধ্য থেকে মঙ্গলবার ব্যাংকের ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ পৌর এলাকার কসাইপাড়ার এক ব্যাক্তির পজিটিভ শনাক্ত হয়। এ পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন আক্রান্ত ব্যাক্তিদের বসবাস এলাকা রেডজোন হিসাবে ঘোষণার মধ্যদিয়ে লকডাউন করেন দরন।
[৫] এদিকে, ওই রিপোর্ট ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বুধবার বিকালে আবারো রিপোর্ট জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংকের ৬ জন কর্মকর্তাসহ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের এক গৃহবধুর কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের পরিকার লকডাউন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
[৬] জীবননগর থানার অফিস ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম নতুন আক্রান্তদের কথা নিশ্চিত করে বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি সিদ্ধান্তে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার সকাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে লকডাউন। প্রতিটি পয়েন্টে আমাকে পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবকরা থাকবেন শুধু চিকিৎসা ও ওষুধসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাকি সব কিছুই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সম্পাদনা : হ্যাপি