অনলাইন ডেস্ক : চলে এসেছে গরমকাল। একদিকে করোনা অন্যদিকে গরমের তীব্রতায় নাজেহাল জনজীবন। এদিকে করোনার হাত থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলে আসছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিনের কোনো অসুস্থতা, অনিদ্রা, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান সবকিছুই রোগ প্রতিরোধ কমিয়ে দেয়। এই সময়ে পুষ্টি না পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর তা বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে।
তাই সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। যাতে খাবারগুলো শরীর শক্তিশালী করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধও করে। সেসকল খাবারের তালিকায় আছে-
কমলাঃ
কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি। প্রতি ১০০ গ্রামের মধ্যে ৫০ মিলিগ্রামই ভিটামিন সি থাকে। এই ফল শুধু সুস্বাদুই নয়, এতে রয়েছে খুবই কম ক্যালোরি। এক গ্লাস কমলার রস প্রতিদিন সকালে পান করলেই দিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-র অভাব পূরণ হয়ে যাবে।
টকদইঃ
টকদইয়ে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যা হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এতে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা কোষ্টকাঠিন্য দূর করে ও ডায়েরিয়া প্রতিরোধ করে।
লেবুঃ
লেবু আকারে ছোট ফল হলেও এর উপকারিতা প্রচুর আর পুষ্টিগুণেও ভরপুর। লেবুর উচ্চ ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি যেকোনো ভাইরাসজনিত ইনফেকশন যেমন ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর দমনে কার্যকারী। মুত্রনালীর ক্ষত সারাতেও লেবুর গুরুত্ব রয়েছে। লেবুর রসে যথেষ্ট পটাশিয়াম রয়েছে যা হাইপার টেনশন কমাতে সাহয্য করে। যাদের হালকা শ্বাসকষ্ট আছে, তারা নিয়ম করে খাবারের আগে এক চামচ লেবুর রস খেতে পারেন।
পুদিনাঃ
পৃথিবীতে এমন অনেক ধরনের উদ্ভিদ আছে যেগুলোতে প্রচুর ঔষধি গুণ রয়েছে। পুদিনা পাতা তার মধ্যে অন্যতম। সাধারণ আগাছা ধরনের এই গাছটির কাণ্ড ও পাতা উপকারী। পুদিনায় রোজমেরিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। যাদের শরীরে বেশি ঘাম হয় তারা পুদিনা পাতা ও গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে সেই পানির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন।
তরমুজঃ
পুষ্টিগুণে ভরা তরমুজ শরীরের পুষ্টি চাহিদা দ্রুত পূরণ করে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। যাদের বেশি ঘাম হয়, তাদের নিয়মিত তরমুজ খাওয়া দরকার। এতে শরীর তাড়াতাড়ি দুর্বল হয় না। তরমুজে যে পটাশিয়াম থাকে তা মানব দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। পুষ্টিবিদদের মতে, তরমুজ হৃদরোগ, হাঁপানী, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।