সজিবুল আলম সজিব : [২] বগুড়ার শাজাহানপুরে সম্ভ্রম রক্ষা করতে নিজের প্রাণ দিয়েছেন গার্মেন্টস কর্মী মীম আকতার(২০)। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার গন্ডগ্রামে গভীর রাতে রাস্তার উপর খুন হয় গার্মেন্টস কর্মি মীম আক্তার। এ আলোচিত হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।
[৩] বগুড়ার পুলিশ সুপার মো: আলী আশরাফ ভূঞা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ও মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রোববার শাজাহানপুর থানা পুলিশ ১৫ দিনের মধ্যেই আসামীকে ধরতে এবং খুনের রহস্য উন্মোচনে সক্ষম হন।
[৪] তদন্ত সূত্রে জানাগেছে, গার্মেন্টস কর্মি মীম আক্তার গত ৪ জুন গাজীপুর জেলার মৌচাক এলাকা থেকে বগুড়া গামী বাসে উঠেন। বাসের কন্ডাকটর রাত সাড়ে ৯টায় বগুড়ার বনানী বাস স্ট্যান্ডে মীম আক্তার কে নামিয়ে দিয়ে একটি রিকশায় উঠিয়ে দেন। মাথায় কু-মতলব রিকশা চালক নূর ইসলাম তাকে কলোনীতে না নিয়ে গিয়ে শাকপালা এলাকায় নিয়ে যান। সেখান থেকে রানীরহাট-বনানী সড়কের গন্ডগ্রামে জনশূন্য এলাকায় নিয়ে যায় এবং মীম আক্তারের হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে রিকশাচালক ধর্ষণের চেষ্টা করলে মীম আক্তার তাতে বাঁধা দেয়। এ সময় রিকশার চাকা খোলার রড দিয়ে মীম আক্তারের ঘাড়ে আঘাত করলে সাথে সাথেই তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় মীম আক্তারের মা খায়রুন্নাহার শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করলে মামলাটি এস.আই আব্দুর রাজ্জাক তদন্ত করেন।
[৫] সেই অস্পষ্ট বিবরণের সাথে মিল পাওয়ায় এক রিকশা চালককে সরসরি চ্যালেঞ্জ করেন কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ফারুক। বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান এএসআই ফারুক। পরবর্তীতে রিকশা চালক নুর ইসলামকে আটকের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।পরে মীম আক্তারকে খুন করেছে মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুরতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র রিকশা চালক নুর ইসলাম। তদন্ত টীমের বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মধ্য দিয়ে নিরীহ গার্মেণ্টস কর্মি মীম আক্তারের হত্যা রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি নিরপরাধ ৪ ব্যক্তি মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা থেকে নিস্কৃতি পেয়েছেন।