মো.রাইসুল ইসলাম রিপন, কামারখন্দ,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] এক সময় মাটির তৈরি নিপুণ হাতে কারুকার্যের তৈজসপত্রের প্রচুর ব্যবহার ছিল। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প মাটির তৈরি তৈজসপত্রের জায়গা দখল করে নিয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিকের ও মেলামাইনের তৈরি তৈজসপত্র।
[৩] সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা ভদ্রঘাটের মৃৎশিল্পীরা জানান, কাঁচ, প্লাস্টিক ও মেলামাইনের ভিড়ে আমাদের মৃৎশিল্পীদের তৈজসপত্র প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। অন্যান্য তৈজসপত্র গুলো অধিক টেকসই এর ফলে আমাদের মাটির তৈরি তৈজসপত্রের ব্যবহার কমে গেছে। আমাদের মৃৎ শিল্পের ব্যবসা একদমই বন্ধ হওয়ার পথে।
[৪] দিন দিন যেভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প এ পেশা নিয়ে ভদ্রঘাটের কুমার পল্লী মানুষ বেশ চিন্তিত। যারা জন্মগতভাবেই নিপুণ হাতে কারুকার্যখচিত মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যার কারনে ভদ্রঘাট কুমার পল্লীর মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার খুবই কম। চাইলেও সহজে যেতে পারছেন না অন্য কোন পেশায়। আগে যেটুকু একটু ব্যবসা চলত বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
[৫] এ সময় ভদ্রঘাট কুমার পল্লীর জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ব্যবসা আগে যেটুকু চলত কিন্তু দেশের এই করো না পরিস্থিতিতে এখন একদমই বন্ধ হওয়ার পথে। দেশের এই পরিস্থিতিতে অনেকেই সাহায্য সহযোগিতা পেলেও আমাদের কুমার পল্লীতে তেমন কোনো সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। লকডাউন এর ফলে মিষ্টির হাঁড়ি ও বিভিন্ন ছোটখাটো জিনিসপাতি গুলোর বিক্রিও সীমিত হয়ে গিয়েছে।
[৬] সুশান্ত পাল বলেন, আমাদের এই পুরনো ঐতিহ্যবাহী কাজ থেকে আমাদের অনেক পরিবারই সরে গিয়েছে। তাদের জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বিভিন্ন চাকরি ও ব্যবসায় যোগদান করেছে। এখন এখানে যে কয়েকজন মৃৎশিল্পী রয়েছেন তাদের বর্তমানে কষ্টের শেষ নাই। আগের মত নেই বেচাবিক্রি সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছে সবাই।
[৭] ভদ্রঘাট কুমার পল্লীর কুমার এরা মনে করেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থার সহযোগিতা পেলে নিজেদের স্বাবলম্বী করাসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালির পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখা সম্ভব হবে। তাছাড়া এই পেশায় নিয়োজিত কুমার গোষ্ঠীসহ ঐতিবাহি শিল্পটি হারিয়ে যাবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :