কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [৩] বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার গত তিন বছরে রাখাইনে রেহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেনি। আমরা হতাশ হচ্ছি।
[৪] জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, শুধু গত বছরেই বিশ্বে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন এক কোটি মানুষ। তাই সকলকে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সুরক্ষা ব্যবস্থাটির অখণ্ডতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে একযোগে কাজ করতে হবে।
[৫] বাংলাদেশে বর্তমানে সাড়ে ১১লাখ রোহিঙ্গা এর পরে যথাক্রমে উগান্ডায় ২ লাখ ৮৫ হাজার এবং কেনিয়ায় ২ লাখ ৩৫ হাজার শরণার্থী রয়েছে।
[৬] ইউএনএইচসিআর বলেছে, বিশ্বের প্রায় ৮ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত, নিজ দেশেই ৪ কোটি ৫৭ লাখ, দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ এবং বিভিন্ন দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেছে ৪২ লাখ। যুদ্ধ, জোরপূর্বক ও অন্যান্য কারণে এরা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
[৭] জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বেচ্ছায় নিজ ঘরে ফেরার সুযোগও দিন দিন কমে আসছে। এর আগে এতো মানুষ কখনও গৃহহারা হয়নি। এটা মেনে নেওয়া যায়না। শরণার্থীদের জন্য প্রয়োজন একেবারে নতুন ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি।
[৮] সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেন, স্মরণার্থীদের যে দেশগুলো সুরক্ষা প্রদানে সামনে থেকেছে, তারা এখন ওই জনগোষ্ঠীর সহায়তায় কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে। মূল কথা হচ্ছে, তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শরণার্থীদের সুরক্ষার প্রক্রিয়াটা বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়েছে।
[৯] বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশ পাঁচটি দেশ সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান ও মিয়ানমার।
আপনার মতামত লিখুন :