মুসবা তিন্নি : [২] ফলন ভালো ও বাজারে দাম থাকায় বিলুপ্ত হওয়া এ ধান চাষে রাজশাহীর কৃষকদের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
[৩] রাজশাহী, গোদাগাড়ী, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার মধ্যে দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহ। প্রতিবছর শীতকালে এ নদীর কয়েক হাজার হেক্টর চর জেগে উঠে। আর জেগে উঠা চরে নদী পাড়ে কৃষকেরা বাদাম, গম, পেয়াঁজ, আদা, রসুনসহ নানা সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তার মধ্যে অন্যতম চিনাধান।
[৪] চিনাধান চাষ করতে কোন খরচ নাই বললেই চলে। বিনা খরচে এ ধান চাষ হয় বলে লাভও ভাল হয় বলে জানিয়েছেন চরঞ্চলের কৃষকরা। ছোট আকারে ধান হওয়া বাজাওে আতপ চালের মতো চাহিদা। চলতি বছরেও চিনাধানের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকেরা আশা করছেন। [৫] চলতি বছর চিনাধান চাষ জেলার মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলার মধ্যে বেশি হয়েছে। সেখানের কৃষক জিয়াউর বলেন, চিনাধান চাষ করতে খরচ বেশি হয় না। চর জেগে উঠলে শুধু মাত্র বীজ বোপন করলেই ধান বেড়ে উঠে। মাঝে একবার সামান্য সার প্রয়োগ করতে হয়। কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন পড়েনা।
[৫] তিনি আরো বলেন, প্রতি বিঘাই ৫ থেকে ৬ মন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাই। বাজারে এর দামও ভাল। প্রতিমণ ধানের মূল্য তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
[৬] গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় এবার প্রায় আড়াই থেকে ৩০০ বিঘা জমিতে চিনাধান চাষ হয়েছে। আগামীতে কিভাবে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :