শিরোনাম
◈ এমপিদের পেনশন, গাড়ি কেনা নিয়ে ক্ষেপল এশিয়ার আরেক দেশের জেন-জি ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না, সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে: নজরুল ইসলাম  খান  ◈ এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : বিবৃতিতে তারেক রহমান ◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] লামায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে বসতঘর সংলগ্নে স্থাপিত মুরগির খামার, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা

মো. নুরুল, লামা প্রতিনিধি : [২] বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের সাপমারা ঝিরি গ্রামের বাসিন্দা শাহ জাহানের মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আশপাশের মানুষ। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামারটি স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে আশপাশের বাসিন্দারা থাকতে পারছেন না বসতঘরে। পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। ইতোমধেই বিষ্ঠার দুর্গন্ধে শিশুসহ ৩জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেনে বলে অভিযোগ বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের। দ্রুত প্রতিকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

[৩] এক বছর আগে নুরু ছালামের ছেলে শাহ জাহান বসতঘর নির্মাণের নাম করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় লম্বা একটি ঘর নির্মাণ করেন। পরে আশপাশেল লোকজনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে ওই ঘরে মুরগির বাচ্চা তুলেন। বর্তমানে খামারে শতশত মুরগি রয়েছে। এসব মুরগির বিষ্ঠার কারণে অসহনীয় দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয়, এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না বলে নীতিমালায় উল্লেখ আছে।

[৪] ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার বসতঘরসহ আরো ৮ বসতঘর সংলগ্ন খামারটির অবস্থান। বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে থাকা ওই পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’ বিষ্ঠার দুর্গন্ধে ইতোমধ্যেই আমার ছেলে, ছেলের বউ ও এক মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধ যাতে না ছাড়ায় সে ব্যবস্থা করতে বললে, শাহ জাহান উল্টো অশ্লীল ভাষায় গাল মন্দ করেন। খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। খামারের বিষয়ে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সূরাহা হয়নি।

[৫] অভিযোগ অস্বীকার করে খামারের মালিক শাহ জাহান বলেন, খামারটি নিয়মিত পরিষ্কারের পাশাপাশি স্প্রে করা হচ্ছে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়। নুর মোহাম্মদের অভিযোগ সত্য নয়, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

[৬] উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মাধবী লতা আসাম জানান, মুরগির খামারের বিষযে এলাকাবাসী মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে সরজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

[৭] লামা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী বলেন, কেউ নীতিমালা লঙ্ঘন করে মুরগির খামার গড়ে তুললে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়