ভূঁইয়া আশিক : [২] দুনিয়ার জ্ঞানীগুণীদের সিংহভাগই ছিলেন স্বশিক্ষিত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৬ষ্ঠ শ্রেণির পর আর পড়েননি।
[৩] এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা বৈষম্যমূলক। কারণ আমাদের অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী রয়েছে। যতো শিক্ষার্থী রয়েছে, সবার কাছে অনলাইন ক্লাসের প্রযুক্তি নেই।
[৪] এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়, ৯ মাসেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অকার্যকর ছিলো, তবে সময়মতো সেই ক্ষতি আমরা পুষিয়ে নিয়েছিলাম। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে, কিন্তু এখনো ৯ মাস পূর্ণ হয়নি। ফলে এখনই উঁচাটন হওয়ার মতো যুক্তি নেই। কারণ সবার আগে জীবন বাঁচাতে হবে। জীবন বাঁচলে শিক্ষাও বাঁচবে।
[৫] অভিভাবকদের উচিত, এ সময়ে সন্তান-সন্ততিরা পড়ালেখা করে কিনা খেয়াল রাখা। শুধু পাঠ্যবই পড়তে হবে, এমন কোনো কথা নেই, এর বাইরে জ্ঞানের জগতের অনেক বইপত্র আছে, তা পড়ার চেষ্টা করতে হবে।
[৬] শিশুদের নানাভাবে ব্যস্ত রাখতে হবে, যেন মানসিক প্রশান্তি হারিয়ে না যায়।
[৭] শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি অনাকাক্সিক্ষত হলেও অনিবার্য ছিলো। কারণ পরিস্থিতি বিকল্পহীন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের জীবন বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়তো।
[৮] মোবাইল গেম অথবা টেলিভিশন কার্টুন দেখে সময় কাটালে হবে না, তাদের পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :