শিরোনাম
◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২০, ০৩:১৭ রাত
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২০, ০৩:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথায় করণীয়

অধ্যাপক ডা. এমএস জহিরুল হক চৌধুরী : ‘প্রায়ই মাথাব্যথা হয়। আমার বোধ হয় মাইগ্রেন আছে’-এমন ধারণা অনেকেরই। কিন্তু সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়। মাইগ্রেন হলো একটি ভিন্ন ধরনের মাথাব্যথা। মেয়েদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়।

মাথায় রক্ত চলাচলের তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হয়। কিছু কিছু বিষয় মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন-চকোলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ পিল সেবন, দুশ্চিন্তা করা, ভ্রমণ, নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম ইত্যাদি।

মাথাব্যথা ও বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। মাথাব্যথা শুরুর আগে হাই তোলা, কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। মাথার যে কোনো অংশ থেকে ব্যথা শুরু হয় এবং পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথা হতে পারে। বমি বা বমি ভাব থাকে।

এ ছাড়া ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেন হলে দেখতে সমস্যা, যেমনÑ চোখে উজ্জ্বল আলোর অনুভূতি, হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিসীমানা সরু হয়ে আসা অথবা যে কোনো একপাশ অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে। ২০ মিনিট স্থায়ী এসব উপসর্গের পর বমি ভাব এবং মাথাব্যথা শুরু হয়, যা সাধারণত একপাশে হয়। দৃষ্টির সমস্যা এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হলে ধরে নিতে হবে, এটি মাইগ্রেন নয়।

যাদের মাইগ্রেন আছে, তাদের ভালো ঘুম নিশ্চিত করা দরকার। প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। যেসব খাবার খেলে ব্যথা শুরু হতে পারে, যেমন- কফি, চকোলেট, পনির, আইসক্রিম, অ্যালকোহল ইত্যাদি বাদ দিতে হবে। বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। জন্মবিরতিকরণ ওষুধ সেবন না করাই ভালো। প্রয়োজনে অন্য পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেতে পারে। পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেন অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।

মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানো, মাথাব্যথা ও বমি ভাব উপশমের জন্য কিছু কার্যকর ওষুধ রয়েছে, যেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করা উচিত। বড় কথা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মনে রাখতে হবে, সব মাথাব্যথা মাইগ্রেন নয়; দৃষ্টিস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, সাইনোসাইটিস, দাঁতের সমস্যা, মস্তিষ্কের টিউমার ও রক্তক্ষরণসহ নানাবিধ কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। বারবার মাথাব্যথায় না বুঝে ওষুধ খাবেন না। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক : অধ্যাপক; ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল

চেম্বার: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি. শ্যামলী শাখা, ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়