সোহরাব হোসেন : [২] বৃহস্পতিবার রাতে নুরনগর গ্রামের মৃত হরিচরন ঘোষের ছেলে বাবু ঘোষের স্ত্রী তন্দ্রা ঘোষ (৩৩) পারিবারিক কলহের কারনে বাড়ির উঠানের পেয়ারা গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার করেছে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
[৩] সরেজমিন গিয়ে মৃত তন্দ্রা ঘোষের মৃত্যুর বিষয়টি স্বামী বাবু ঘোষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত রাতে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য বাকবিতন্ডা হয় এবং তার পর আমি ঘুমিয়ে পড়ার পর আমার উপর অভিমান করে আমার অজান্তে সে গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
[৪] সে আরও বলেন আমি ভোর ৫টার দিকে উঠে বিছানায় তাকে না পেয়ে বাহিরে এসে দেখতে পাই পেয়ারা গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে। এর পর আমি আমার ভাই ও প্রতিবেশিদের ডাকলে তারা ঘটনা স্থলে আসে। জানা গেছে বাগেরহাট সদরের লাউপালা গ্রামের দুলাল দাসের মেয়ে তন্দ্রার সাথে একবছর আগে বিবাহ হয় শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের হরিচরন ঘোষের ছেলে বাবু ঘোষের।
[৫] বিবাহের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই গোলযোগ লেগে থাকতো বলে স্থানীয় কয়েক জন প্রতিবেশি জানায়। অন্যদিকে আত্মহত্যার খবর পেয়ে মৃত তন্দ্রার বড় বোন শ্যামনগর উপজেলার নাগবাটি গ্রামের শ্রীনিবাস মন্ডলের স্ত্রী ইন্দ্রানী মন্ডল ঘটনা স্থলে আসেন এবং সাংবাদিকদের জানায় তার বোন তন্দ্রা অনেক দিন থেকে মাঝে মাঝে মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে এমন ঘটনা ঘটনানোর চেষ্টা করতো।
[৬] এখবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর সহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনা স্থলে আসেন ও লাশের সুরাতহাল করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ