মুসা আহমেদ: [২] করোনা মহামারীর প্রভাবে মন্দায় যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি। ভাইরাস মোকাবেলায় দেশজুড়ে নেয়া বিধিনিষেধে স্থবির হয়ে পড়ে দেশটির সমগ্র ব্যবসা বাণিজ্য। ফলে প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে দেশটিতে। বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির কোষাগার সচিব জোশ ফ্রাইডেনবার্গ। সিএনবিসি
[৩] দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো এবিএস জানায়, করোনা মহামারীর কারণে থমকে যায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। চাকরি হারায় বহু মানুষ। ফলে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া বছরের প্রথম প্রান্তিকে কমে যায় ০.৩ শতাংশ। ক্ষতি হয় ১.৩৯ ট্রিলিয়ন ডলার। যা বিগত নয় বছরে প্রথম ধস। বার্ষিক হিসেবে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.৪ শতাংশ। এর আগে ২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনীতির চরম মন্দার প্রভাবে দেশটির অর্থনীতিতেও ধস নামে।
[৪] ক্যানবেরাতে সাংবাদিকদের জোশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, করোনা মহামারির প্রভাবে জুনের প্রান্তিকেও আমরা একটা ধস দেখতে যাচ্ছি। যা মার্চের প্রান্তিকের চেয়েও বেশি ধস হতে যাচ্ছে। পর পর দুই প্রান্তিকে ধসের ঘটনা ১৯৯০ সালের পর আর দেখেনি অস্ট্রেলিয়া।
[৫] এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিবিদ কাইসিন ওয়াইওঙ্গ বলেন, করোনা মহামারী কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভয়াবহ ধস হবে অস্ট্রেলিয়াতে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে।
[৬] তথ্যমতে, অর্থনৈতিক মহামন্দার কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাস সর্বোচ্চ থাকা অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দরও কমেছে। দেশটির ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত মান সূচকে কমেছে। এদিকে, খুচরা পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান, মোটরাগড়ি, গণপরিবহন, হোটেল, রেঁস্তোরাসহ বিনোদন ক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপক ধস হয়েছে প্রথম প্রান্তিকে।
[৭] মার্চের শুরুতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১০০ নিচে। তবে কয়েক ধাপে লাফিয়ে সেই সংখ্যা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৭ হাজারেরও ওপর। সেসময় দেশটিতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।