শিরোনাম
◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২০, ০২:৫৪ রাত
আপডেট : ০২ জুন, ২০২০, ০২:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অণ্ডকোষে প্রদাহ আপনার করণীয়

ডা. মো. অহিদুজ্জামান : পুরুষের প্রজনন অঙ্গ অ-কোষে প্রদাহ হতে পারে। এ প্রদাহ অ-কোষের বাইরে অর্থাৎ ত্বকে এবং ভেতরে টেস্টিস বা শুক্রাশয়ে হতে পারে। ত্বকের প্রদাহকে স্ক্রোটাল ডার্মাটাইটিস এবং টেস্টিসে প্রদাহকে অর্কাইটিস বলে।

স্ক্রোটাল ডার্মাটাইটিস : এটি প্রধানত দুটি কারণে হয়। একটি হচ্ছে সংস্পর্শ বা কন্টাক্টের মাধ্যমে এবং অন্যটি হচ্ছে ক্যানডিডা বা ছত্রাকের মাধ্যমে।

সংস্পর্শজনিত ডার্মাটাইটিস : কিছু কিছু সাবান যেখানে ক্ষারের পরিমাণ বেশি তা অ-কোষ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করলে ডার্মাটাইটিস হতে পারে। অনেকে এ অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখার জন্য বারবার সাবান ব্যবহার করে ঘষামোছা করেন। এর ফলেও ত্বকে প্রদাহ হতে পারে। কাপড় কাচার সাবান ব্যবহার থেকেও সমস্যা হয়ে থাকে। কারো কারো সিনথেটিক কাপড় ব্যবহার থেকে অ-কোষের ত্বকে প্রদাহ হয়।

করণীয় : পরিষ্কার রাখার জন্য বেশি বেশি সাবান ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কাপড় কাচার সাবান ও বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করাই উত্তম। অ-কোষ পানি দিয়ে ধুলেই যথেষ্ট। সুতির আন্ডারগার্মেন্টস পরিধান করা উত্তম।

ছত্রাকজনিত ডার্মাটাইটিস : সাধারণত ক্যানডিডা দিয়ে অ-কোষের ত্বকে প্রদাহ হয়। এ ক্ষেত্রে ত্বক প্রচ- চুলকায় এবং চুলকালে মরা চামড়ার মতো উঠে যায়।

করণীয় : অণ্ডকোষ শুকনো রাখতে হবে। চিকিৎসায় অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ও মৃদুু স্টেরয়েড ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। শক্তিশালী স্টেরয়েড ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হয়।

টেস্টিসে প্রদাহ : এ ক্ষেত্রে টেস্টিস ফুলে যায়, ব্যথা হয় এবং টেস্টিস দুটি পেঁচিয়ে যেতে পারে। এর কারণগুলো হচ্ছে, যৌনবাহিত রোগ গনোরিয়া। নেসারিয়া গনোরি নামক ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এ অঙ্গে প্রদাহ হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর এক্সপোজার অর্থাৎ অবাধ মেলামেশার ইতিহাস থাকে। চিকিৎসা না করালে রোগী বন্ধ্যত্ব বরণ করতে পারে। টেস্টিসে যক্ষ্মাও হতে পারে।

এ ক্ষেত্রে যক্ষ্মার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে। ব্যাকটেরিয়া থেকে অর্কাইটিস হলে রক্তের কালচার সেনসিটিভিটি দেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কারো কারো এ অঙ্গে ক্যানসার থেকেও অর্কাইটিস হয়। এ ক্ষেত্রে এখান থেকে বায়োপ্সি নিয়ে কনফার্ম করতে হবে। এ ছাড়া একাধিক যৌনসঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশা না করাই উত্তম। মেলামেশার সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।

লেখক : অণ্ডকোষ ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ  কনসালট্যান্ট, ইউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

চেম্বার : সেন্ট্রাল হসপিটাল, বাড়ি-২, রোড-৫, গ্রিনরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়