শিমুল মাহমুদ : [২] আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন আরও বাড়বে এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, করোনার হাত থেকে মানুষের জীবন রক্ষা করাই জরুরী। ‘অর্থনৈতিক মন্দা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব কিন্তু মানুষের জীবন রক্ষা করতে না পারলে সেটা হবে বড় ধরনের ব্যর্থতা।
[৩] ড. কামাল হোসেন বলেন, লকডাউন কার্যকর না করা, আইন প্রয়োগে শিথিলতা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের দায়িত্বহীন বক্তব্য, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে ঢাকা থেকে গ্রামে যেতে ও আসতে দেওয়া, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপণ, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা, স্বাস্থ্যখাতে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা আমাদের জীবন ও জীবিকাকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করেই গণপরিবহন চালু করা হয়েছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন বাড়ছে তখন সব চালু করা হলো। এর ফলাফল ভয়াবহ হবে তা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাই আশঙ্কা করছেন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ধীরগতি ও তা বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতার কারণে আমাদের অনেক মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ৫০ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত। অজানা আতঙ্কে আছে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :