জামাল হোসেন : [২] চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর ভৈরব নদীতে গোসল করা কালে পানিতে ডুবে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি রোববার সংঘটিত হয়েছে। দীর্ঘ ছয় ঘন্টা খোঁজাখুঁজি পর নদী থেকে লাশ উদ্ধার।
[৩] নিহতের পারিবারিক ও প্রতিবেশী সুত্র জানান,জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের প্রবাসী মাসুম মিয়ার কন্যা মাহফুজা খাতুন(১২) কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী।
[৪] মাহফুজা প্রতিদিনের মত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির নিকটবর্তী ভৈরব নদীতে তার বান্ধবী তাজনুরের সাথে গোসল করতে যায়। তারা নদীতে কলা গাছের ভেলা নিয়ে ভেসে বেড়ানোর এক ফাঁকে কলার ভেলা হাত থেকে ছুটে যায়। এসময় তারা পানিতে তলিয়ে যায়। সেখানে গোসল করা এক নারীর চোখে পড়ে ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি। ওই নারী প্রাণপন চেষ্টা করে তাজনুরকে উদ্ধার করতর পারলেও খুঁজে পান না মাহফুজাকে। এমন পরিস্থিতি বিষয়টি মাহফুজার পরিবারকে জানানো হলে পরিবারের লোকজনের সাথে প্রতিবেশীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাতে থাকে। সেখানে গিয়ে পৌছায় ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা। কিন্তু জীবননগর ফায়ার সার্ভিস টিম ডুবুরি না থাকায় তারা ফিরে যান।
[৫] পরে পার্শ্ববর্তী সেনেরহুদা গ্রাম থেকে দু’জন জেলে জাল নিয়ে নদীতে নামেন। খোঁজাখুজির এক পর্য়ায়ে জালে ওঠে আসে মাহফুজার নিথর দেহ। ততক্ষনে এসে পৌছায় ডুবুরি দল।নিহত মাহঠুজার লাশ উদ্ধারের সময় শত শত মানুষ নদীর পাড়ে ভিড় জমায়। দীর্ঘ ছয় ঘন্টা পর লাশ মাহফুজার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার হলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
[৬] কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার শিপলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিন্ত করে বলেন,ঘটনাটি হৃদয়বিদারক ও বেদনাদায়ক। এখন বর্ষা মওসুম,তাই আমাদের অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে ছোট ছোট সন্তানেরা নিরাপদ স্থানে গোসল করতে যাচ্ছে কি না! নিহতে লাশ রাতেই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
[৭] জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুণ ইসলাম বলেন,নিহত মাহফুজান পরিবানের মৃত্যুর ব্যাপারে কোন আপত্তি না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন