ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর খুলনা রেঞ্জের পরিচালক মোল্যা আমজাদ হোসেন বলেন, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে সবচাইতে ক্ষতি গ্রস্থ এলাকা সাতক্ষীরা বাগেরহাট এবং খুলনা জেলা। ঝড় এবং জলোচ্ছাসে বেঁড়ি বাঁধ ভেঙ্গে মানুষের ঘর বাড়ির ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়, ভেসে যায় তাদের চিংড়ি ঘের, আমাদের মহাপরিচালকের স্যারের নির্দেশে এসব ক্ষতি গ্রস্ত ঘর বাড়ি নির্মাণ কাজে সহযোগীতা করে তাদের ঘর বাড়ি মেরামতের কাজ শেষ করতে পারলেও ভাঙ্গা বেঁড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজ এখনও চলছে।
[৩] ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং তৎকালীন পূর্ববাংলা আইন পরিষদে আনসার এ্যাক্ট অনুমোদিত হলে ১৭ জুন ১৯৪৮ সালে তা কার্যকর হয়। তখন থেকে এ বাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত হতো। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধকালে দেশের সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতে আনসারদের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়।
[৪] স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার (মুজিবনগর) এর শপথ গ্রহণ শেষে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে আনসার প্লাটুন কমান্ডার ইয়াদ আলীর নেতৃত্বে ১২ জন আনসার বাহিনীর সদস্য গার্ড অব অনার প্রদান করে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আনসার বাহিনীকে বিদ্রোহী আখ্যায়িত করে বিলুপ্ত করা হয়। প্রায় ৪০ হাজার রাইফেল নিয়ে আনসার সদস্যরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়। যুদ্ধে আনসার বাহিনীর ৯ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মচারী ও ৬৫৭ জন আনসারসহ সর্বমোট ৬৭০ জন শহীদ হন। বাহিনীর ১ জন বীর বিক্রম এবং ২ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।
আপনার মতামত লিখুন :