শিরোনাম
◈ শ্রম আইন সংশোধন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ আমিরাতে আটক বাংলাদেশিদের মুক্তির অনুরোধে চিঠি পাঠাবেন ড. ইউনূস ◈ যেসব এলাকায় শুক্রবার ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না ◈ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ডিসেম্বরে ঢাকা আসছেন ◈ ডিসেম্বরে এক দিন নিলেই টানা ৪ দিন ছুটি, নভেম্বরে কত দিন? ◈ ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮০৩ ◈ ইভিএম বাতিল, প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক ◈ সালমান শাহ হত্যা মামলা, আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ◈ গাজীপুরে কিশোরী ধর্ষণ: প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শায়খ আহমাদুল্লাহর, প্রেমের সম্পর্ক দেখিয়ে ঘটনা হালকা করার অভিযোগ ◈ ‘নীরব কিন্তু উদাসীন নয়’: কেন ভারতের জেন-জি তরুণরা রাস্তায় নামছে না

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০২০, ১২:০৯ দুপুর
আপডেট : ০১ জুন, ২০২০, ১২:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সরকারি পরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

সুজিৎ নন্দী : [২] একের পর এক সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস আসছে। বাসগুলোর যাত্রীদের অধিকাংশেই ছিল না সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি দুটি করে আসন দেখা গেলেও প্রতিটি আসনেই যাত্রী বসানো হয়েছে। এমনকি পুলিশের বড় বাসগুলোতে গায়ে গা লাগিয়ে বসতে দেখা গেছে। মাইক্রেবাসেও পাশাপাশি বসতে দেখা গেছে। টেম্পুতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। গাড়ির প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক রাখার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি। সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে।

[৩] এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আজই আমরা পদক্ষেপ নেবো। কাল থেকে কোন সরকারি পরিবহন ও গণপরিবহন রাজধানীতে চলতে গেলে স্বাস্থ্য বিধি মানতেই হবে।

[৪] ঢাকা দক্ষিণের পরিবহন বিভাগের উদ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের গাড়িগুলোর অধিকাংশই লিজের মাধ্যমে নেওয়া। আর গাড়ির আসনগুলো একেক কর্মকর্তা-কর্মচারির নামে বরাদ্দ। তাই কেউ তার আসন ফাঁকা রাখতে চায় না। সবাই উঠে বসে যায়। সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

[৫] সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে না, ৬০ ফুট, ফার্মগেট, গুলিস্তান রাজারবাগ, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ও গুলিস্তান রুটে স্বল্প পরিসরে লেগুনা চলাচল করেছে। এই গাড়িগুলোতে কোনও জায়গা ফাঁকা নেই। যাত্রীরা গাদাগাদি করে বসেছিলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন ফাঁকা রেখে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে আগের থেকে বেশি।

[৬] গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি চিন্তা করে কর্মজীবী মানুষের অনেককেই রিকশা ও সিএনজিতে অফিসে যেতে দেখা গেছে। তাদের দাবি বাসে মানুষের উপস্থিতি বেশি। রিকশায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হয়। তবে জীবানুনাশক না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারা নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সরকারের পক্ষ থেকে জীবনাণুনাশক রাখার দাবি জানিয়েছেন। যাতে রিকশা সিএনজিগুলো স্প্রে করা হয়।

[৭] পরিবহন মালিক সমিতির নেতা জানান, লকডাউন খোলার পর প্রথম দিনে রাজধানীতে কিছু সরকারি গণপরিবহনে শুধু শারীরিক দূরত্বে বসার মাধ্যমেই স্বাস্থ্যবিধি সীমাবদ্ধ ছিল না। আর বেশিরভাগ গণপরিবহনে সেটিও মানা হয়নি। বিশেষ করে সরকারি পরিবহনে সিট ফাঁকা রেখে বসতে দেখা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়