শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ প্রস্তুত ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না, সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে: নজরুল ইসলাম  খান  ◈ এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : বিবৃতিতে তারেক রহমান ◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০২০, ১২:০৯ দুপুর
আপডেট : ০১ জুন, ২০২০, ১২:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সরকারি পরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

সুজিৎ নন্দী : [২] একের পর এক সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস আসছে। বাসগুলোর যাত্রীদের অধিকাংশেই ছিল না সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি দুটি করে আসন দেখা গেলেও প্রতিটি আসনেই যাত্রী বসানো হয়েছে। এমনকি পুলিশের বড় বাসগুলোতে গায়ে গা লাগিয়ে বসতে দেখা গেছে। মাইক্রেবাসেও পাশাপাশি বসতে দেখা গেছে। টেম্পুতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। গাড়ির প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক রাখার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি। সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে।

[৩] এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আজই আমরা পদক্ষেপ নেবো। কাল থেকে কোন সরকারি পরিবহন ও গণপরিবহন রাজধানীতে চলতে গেলে স্বাস্থ্য বিধি মানতেই হবে।

[৪] ঢাকা দক্ষিণের পরিবহন বিভাগের উদ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের গাড়িগুলোর অধিকাংশই লিজের মাধ্যমে নেওয়া। আর গাড়ির আসনগুলো একেক কর্মকর্তা-কর্মচারির নামে বরাদ্দ। তাই কেউ তার আসন ফাঁকা রাখতে চায় না। সবাই উঠে বসে যায়। সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

[৫] সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে না, ৬০ ফুট, ফার্মগেট, গুলিস্তান রাজারবাগ, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ও গুলিস্তান রুটে স্বল্প পরিসরে লেগুনা চলাচল করেছে। এই গাড়িগুলোতে কোনও জায়গা ফাঁকা নেই। যাত্রীরা গাদাগাদি করে বসেছিলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন ফাঁকা রেখে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে আগের থেকে বেশি।

[৬] গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি চিন্তা করে কর্মজীবী মানুষের অনেককেই রিকশা ও সিএনজিতে অফিসে যেতে দেখা গেছে। তাদের দাবি বাসে মানুষের উপস্থিতি বেশি। রিকশায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হয়। তবে জীবানুনাশক না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারা নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সরকারের পক্ষ থেকে জীবনাণুনাশক রাখার দাবি জানিয়েছেন। যাতে রিকশা সিএনজিগুলো স্প্রে করা হয়।

[৭] পরিবহন মালিক সমিতির নেতা জানান, লকডাউন খোলার পর প্রথম দিনে রাজধানীতে কিছু সরকারি গণপরিবহনে শুধু শারীরিক দূরত্বে বসার মাধ্যমেই স্বাস্থ্যবিধি সীমাবদ্ধ ছিল না। আর বেশিরভাগ গণপরিবহনে সেটিও মানা হয়নি। বিশেষ করে সরকারি পরিবহনে সিট ফাঁকা রেখে বসতে দেখা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়