আবুল বাশার নূরু:[২] শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের আয় উপার্জনের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা দিচ্ছি, তারপরেও বিশেষ করে সীমিত আয়ের লোকদের চলতে প্রতিদিনই কষ্ট করতে হচ্ছে। এই কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা মুক্তি দিতে চাই।
[৩]তিনি বলেন, অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। যদিও আগামী ১১ জুন বাজেট প্রণয়নের কাজও আমরা সেরে ফেলেছি। করোনাভাইরাস এমন একটা শক্তি সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে অর্থনীতির চাকা স্থবির করে দিয়েছে সে রকম একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে।
[৪] প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি, কারণ ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে হলে শিক্ষিত জাতি লাগবে। শিক্ষার আলো না পৌঁছালে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব না। এবার একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ যেহেতু করোনাভাইরাসের সমস্যাটা শুধু বাংলাদেশে না, এটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। সারাবিশ্বই এই ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে গেছে। শিক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য চলাচল সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে। এ সমস্যার মধ্য দিয়েই চলতে হচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। পৃথিবীজুড়েই উন্নত দেশগুলো যে অবস্থার মধ্যে আছে উন্নয়নশীল দেশ সবাই একই অবস্থায় চলে আসছে। করোনাভাইরাসের কারণে যেহেতু অর্থনীতিতে একটা বিরাট ধাক্কা আসছে দেখতে পাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সহযোগিতা করতে।
[৫] দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেরে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি সকলকে মানতে হবে। আমরা দেখছি সংক্রমণ বাড়ছে, উন্নত দেশগুলোও অর্থনীতির চাকা উন্মুক্ত করছে। কাজেই আমরাও সেই পদ্ধতিতে যাচ্ছি। শুরু থেকে আমরা বেশ পদক্ষেপ নিয়েছিলাম যে কারনে করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর হার বা সংক্রমিত হার বেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারলে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা মানে নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা, প্রতিবেশিকে সুরক্ষিত রাখা সেটা যদি সকলে মেনে চেলে, মনে রাখতে হবে এটা যেন খুব বেশি সংক্রমিত না হয়।
[৬] রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফল ঘোষণার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :