সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বিবৃতিতে আরও বলেন, লিবিয়ার মিসদাহ শহরে মানবপাচারকারী চক্রের হাতে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৩০ জন অভিবাসীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
[৩] তারা বলেন, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের ওপর ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা চালানো হয়েছে। এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত অবৈধ মানব পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ জন্য লিবিয়ার সরকারসহ বিবাদমান সকল পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
[৪] তারা আরও বলেন, লিবিয়া ও মধপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকেরা এক চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন পার করছেন। করোনা মহামারিতে লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের জীবনে অবর্ণনীয় দুর্দশা নেমে এসেছে। এদের এক বড় অংশের এখন কোনো কাজ নেই, খাবার নেই, অনেকের বাস করার মতো কোনো ব্যবস্থাও নেই। অভিবাসী হাজার হাজার শ্রমিক এখন ফেরারি হয়ে আতঙ্কের মধ্যে বেঁচে আছেন।
[৫] তারা বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও দায়িত্বহীন ও অকার্যকরী ভূমিকা পালন করে এসেছে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দূতাবাসসহ শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও মানবপাচারকারীদের কারণে এখন কয়েক লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকেরা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে।
[৬] তারা অনতিবিলম্বে মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধান, তাদের খাদ্য, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আটক শ্রমিকদের মুক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
[৭] শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।