শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২০, ০১:৫৮ রাত
আপডেট : ৩০ মে, ২০২০, ০১:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]ঝিনাইদহে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ২ লাখ ২৭ হাজার চাষী ক্ষতিগ্রস্ত

ফিরোজ আহম্মেদ, কালীগঞ্জ, (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : [২] ঝিনাইদহে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় ছিল আম্পান। রাত ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে সকাল পর্যন্ত তান্ডব চালায় আম্পান। ভেঙ্গেছে গাছ-পালা, বাড়িঘর। ভেসে গেছে খামার-পুকুরের মাছ। সেই সাথে নষ্ট হয়েছে মাঠের পর মাঠের ফসল।

[৩] ঝিনাইদহ জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার কৃষক আম্পানের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলায় দেড় হাজার হেক্টর কলা, এক হাজার ২৫ হেক্টর শাক শবজি, ১ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর মুগডাল, ২ হাজার ২০ হেক্টরের তিল, সাড়ে ৭’শ হেক্টর মরিচ, এক’শ হেক্টর বোরো ধান, দেড় হাজার হেক্টর পান বরজ, ২ হাজার ৮’শ ৭৫ হেক্টরের আম, ৪১৮ হেক্টরের লিচু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। টাকার অংকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

[৪] ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘুর্ণিঝড় আম্পানে তার দেড় বিঘা জমির পান বরজ নষ্ট হয়ে গেছে। বরজে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পান ছিল। বিধ্বস্ত পান বরজ মেরামত করতে এখন প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে।

[৫] সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের কলাচাষী কাদের মিয়া বলেন, এ বছর তিনি আড়্ইা বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলেন। কয়েকদিন হলো অল্প কিছু কলা বিক্রি করতে পেরেছেন। কলা বিক্রি করে তিনি কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা আয় করতেন। আম্পানের কারণে তার ৩ বিঘা জমির কলাগাছ ভেঙ্গে পড়েছে।

[৬] মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন বলেন, আম্পানের কারণে তার মাছের খামারগুলো ভেসে গেছে। এছাড়াও তার ১০ বিঘা জমির কলাক্ষেত নষ্ট হয়েছে। মুলধন হারিয়ে এখন পথে বসেছেন তিনি। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে সরকারি ভাবে সহযোগিতা করার আহŸান জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে শৈলকুপা উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফুলহরি ইউনিয়ন। শুধ এই ইউনিয়ন না। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব কৃষকদের তালিকা করে সরকারি ভাবে সহযোগিতা করলে কৃষকরা একটু হলেও বাঁচতে পারবে। তার সরকারের প্রতি আহŸান থাকবে, এসব কৃষকদের আর্থিক ভাবে সহযোগিতা যেন করা হয়।

[৭] এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ^াস বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। পানবরজ, কলাক্ষেত, আম, লিচুসহ অন্যান্য ফসল যা রয়েছে তা সংরক্ষণ ও বিপণণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের শান্তনা দেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়