শাহীন খন্দকার : [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজির্ষ্ট্রাট ডা. মীর্জা নাহিদা হোসেন জানালেন,করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম, মানসিক দুশ্চিন্তায় অনিদ্রা, শারীরিক কসরত, জিম, যোগব্যায়াম ক্লাস বন্ধ সব মিলিয়ে শরীররে বইতে হচ্ছে অনেক অনিয়ম। যার ফলে শরীরে মেদ বাড়ছে। তাইতো এই সময়ে শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে গেলে ডি-টক্সিফাই করতেই হবে জানালেন ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা। তিনি বলেন আস্থা রাখুন টক দইয়ের উপর। দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ আমাদের কারও অজানা নয়। শরীরের টক্সিন দূর করে তাকে তরতাজা করতে যেমন দইয়ের জুড়ি নেই, তেমনই অনিয়মের বাড়তি মেদ ঝরাতেও ভরসা টক দই।
[৩] টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। ডায়েটে এই খাবার প্রতি দিন থাকলে শরীর তার প্রয়োজনীয় প্রো-বায়োটিকও পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই সব প্রো-বায়োটিক খুবই উপকারী। কোন কোন গুণের কারণে প্রতিদিনের ডায়েটে একে রাখলে শরীরের উপকার হয়, জানেন?
[৪] শুয়ে-বসে থেকে বা জিম-শরীরচর্চা আগের মতো না হওয়ার জন্য কোলেস্টরল বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। টক দইয়ে ফ্যাটও কম থাকে এবং এটি কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভাবে উপযোগী। কম পানি খাওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। এর হাত ধরে শরীরে ক্ষতিকারক টক্সিন জমা হয়। তাই প্রতি দিন সকালে এক বাটি করে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করলে তা রক্তকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
[৫] দুধ সহ্য হয় না অনেকেরই। তাই ভাবেন, দুধের পুষ্টিগুণ অধরাই থেকে গেল। টক দই কাজে লাগান সে ক্ষেত্রে। দুধের পুষ্টিই পেয়ে যান টক দইয়ের মাধ্যমে। তিনি বলেন, করোনাকালীন এই সময়ে সারা দিন দৌড়ঝাঁপ বন্ধ। অফিসের কাজও একনাগাড়ে বাসায় কিংবা অফিসের চেয়ার-টেবিলে বসে। তাই বাড়ির বানানো খাবার খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
[৬] এতে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে কাজে লাগান টক দইয়ের উপকারিতা। কুচোনো শশার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে খান রোজ। করোনাকালিন এই লকডাউনে মানসিক উদ্বেগ, চাকুরীজনিত দুশ্চিন্তা ও ঘুম না হওয়ার কারণে বা অনিয়মের জেরে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা বিপদে পড়েন। রক্তচাপের ওঠানামা ঠেকাতে নিয়মিত ডায়েটের তালিকায় রাখুন টক দই।