শিরোনাম
◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয় ◈ কত টাকার বিনিময়ে মানববন্ধনে এসেছেন তারা, এদের পরিচয় কী? আরো যা জানাগেল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২০, ০৮:০৩ সকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২০, ০৮:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] খুলনায় পানিতে দাঁড়িয়েই ঈদের নামাজ আদায় (ভিডিও)

খুলনা প্রতিনিধি : [২] সুপার সাইক্লোন ‘আম্পানে’ মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার। ঘূর্ণিঝড়ে এই উপজেলার ১২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ জায়গায় ৪০ কিলোমিটারের অধিক বাঁধ ভেঙে গেছে। বাঁধ নির্মাণে আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও কাজ করছেন উপজেলার হাজারো মানুষ। শুধু তাই নয়, পানিতে দাঁড়িয়েই ঈদের নামাজও আদায় করেছেন তারা।

[৩] পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায়ে ইমামতি করেছেন কয়রা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন। এরপর আবারও ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ নির্মাণে অংশ নেন উপজেলার এসব মানুষ।

[৪] জানা গেছে, গত ২০ মে আম্পানের তাণ্ডবলীলায় নদী ও সমুদ্রের নোনা জলে বিলীন হয়ে গেছে এ অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। বাঁধ ভেঙে অস্বাস্থ্যকর দূষিত নোনা পানির তলে অবস্থান করছে উপজেলাটির ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ৬২টি গ্রাম।

[৫] আম্পানের ফলে উপজেলার ১ লাখ ৮৪ হাজারেরও অধিক মানুষ হয়েছে গৃহহীন। নোনা পানিতে ডুবে গেছে সাড়ে ৪ হেক্টর চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের। নষ্ট হওয়া ১০-১১ মেট্রিক টন চিংড়ি ও সাদা মাছের বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। নেই খাওয়া ও থাকার জায়গা, নোনা পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে সুন্দরবন কোল ঘেঁষা উপজেলার মানুষেরা।

[৬] জানতে চাইলে কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নোনা জলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে বসবাস করছে। আজ ঈদের নামাজ ভাঙ্গা বাঁধের পাশে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আবারও বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

[৭] কয়রা উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফলতি ও নিজস্ব ঠিকাদার দিয়ে নির্মিত বাঁধসমূহ আম্পানে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তিনি টেকসই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য পাউবো এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে আহ্বান করেন।

[৮] এ ব্যাপারে কয়রা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা বেড়িবাধঁ নির্মাণ প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করতে ওপর মহলকে জানিয়েছি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।’

[৯] এ ছাড়া উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদনও ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে পাঠিয়েছেন বলেও জানান কয়রা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়